প্রকাশিত:
৯ আগষ্ট ২০২৩, ০১:৫৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে চতুর্থ শ্রেণির তিনটি শূন্য পদে নিয়োগ দিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়নে আদায়কৃত ৩০ লাখ টাকা তহবিলে জমা না করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে মাদরাসা সুপার ও সহ-সুপারকে অফিস কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় লোকজন।
গতকাল সোমবার (৭ আগষ্ট) ভোলাহাট উপজেলার ময়ামারি দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অবরুদ্ধ দু’জনকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, ময়ামারি দাখিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির তিনটি শূন্যপদে নিয়োগের ৩০ লাখ টাকা মাদ্রাসার উন্নয়ন তহবিলে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। মাদ্রাসার সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন ও সুপার মো. নুরুল ইসলাম ৩০ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র সাড়ে ৪ লাখ টাকা মাদ্রাসার তহবিলে জমা দেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদ্রাসার সুপার মো. নুরুল ইসলাম ও সহ-সুপার মো. আজিজুল ইসলামকে অফিসকক্ষে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকার লোকজন। এ সময় মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করার জন্য তহবিলে বাকি টাকা জমা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
আব্দুল হালিম টুটুল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, তিনটি পদে নিয়োগ দিতে তৎপরতা শুরু করেন মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, সুপার ও সহ-সুপার এবং গত ২৭ মে তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দেন তারা। নিয়োগের টাকা মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসা সুপারের কাছে নিয়োগের টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে সুপার বলেন, আমি পারব না কমিটি আমার কথা শোনে না। তাই তাকে ও সহ-সুপারকে অফিসে তালা মেরে অবরুদ্ধ করা হয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মো. নুরুল ইসলাম ও সহ-সুপার মোঃ আজিজুল ইসলাম কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, টাকার জন্য সেদিন সুপার ও সহ-সুপারকে অফিসে তালাবদ্ধ করে রাখার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
এদিকে ভোলাহাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইকবাল পাশা জানান, সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরুদ্ধ মাদ্রাসা সুপার ও সহ-সুপার পুলিশের মাধ্যমে মুক্ত হন।
মন্তব্য করুন: