প্রকাশিত:
২৫ আগষ্ট ২০২৩, ০২:২৫
রাজশাহী নগরীতে মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) অ্যাপের দুজন সিইও গ্রেপ্তার হয়েছেন। আলাদা অভিযানে বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে জেলার মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহারা এলাকা থেকে যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোহনপুরে বিষহারা গ্রামের দিজেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে দিপেন্দ্রনাথ সাহা (৪৩) ও নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে লতিফুর বারী (৪২)। এর মধ্যে দিপেন্দ্রনাথ মোহনপুর উপজেলার খালমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দুজনেই এমটিএফই এর সিইও ছিলেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার অভিযানের আদ্যপান্ত জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা এই ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। আসামিরা পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, খুব দ্রুত তাদের পেয়ে যাবো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুবাই হতে পরিচালিত কানাডা ভিত্তিক মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) অ্যাপের ফাঁদে ফেলে সাধারণ জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। হাজার হাজার যুবক তাদের জমানো টাকা হারিয়ে হয়েছেন দিশেহারা।
আলোচিত বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক এমটিএফই অ্যাপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সাংবাদ প্রচার হয়। সাংবাদটি আলোচিত হলে গত ২৩ জুলাই রাজশাহী’র জজ কোর্টের আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজপাড়া থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইকে নির্দেশ দেন।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থা ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। কিন্তু গ্রেপ্তার এড়াতে প্রতারকরা গা ঢাকা দেন।
রাজপাড়া থানা পুলিশের নেতৃত্বে বুধবার জেলার মোহনপুরে অভিযান চালায় সিআইডি ও পিবিআই। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো ওই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় আসামিদের।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) বিজয় বসাক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: