[email protected] শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ই পৌষ ১৪৩১

রাজশাহীতে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে পদযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
২১ নভেম্বার ২০২৩, ২০:২৫

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষরা প্রবণ রাজশাহীতে জলবায়ু ন্যায্যতায় কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে পদযাত্রা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবী যুব ঐক্য বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজিনাস নলেজ (বারসিক) নামের এক উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় নগারিক সমাজেরে পক্ষে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।

বক্তরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশে দিনে দিনে দুর্যোগ ও ক্ষয়-ক্ষতি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাস্তুসংকটসহ কর্মসংস্থান হারিয়ে মানুষ নগরগুলোতে নিরাপত্তার জন্যে আসছে। কিন্তু সেখানেও একই সংকটের মধ্যে পড়তে হয় জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষগুলোকে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবগুলো এখন আরো দৃশ্যমান। বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে দিনদিন খরা, তীব্র তাপপ্রবাহ, অনাবৃষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে পানিবণ্টন নীতিমালায় বৈষম্যের কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের জলবায়ু ন্যায্যতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পানিসংকটের কারণে গ্রাম ও শহরের মধ্যে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে সামাজিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি দিনদিন নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত প্রান্তিক মানুষবান্ধব পানিবণ্টন নীতিমালা বাস্তবায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা।

বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে যেমন উপকুলীয় অঞ্চলগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত খরাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজশাহী তথা গোটা বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা, তীব্র তাপদাহ, অনাবৃষ্টি, অসময়ে অতিবৃষ্টির কারণে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই জনপদের মানুষ সহ প্রাণবৈচিত্র।জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যতোটা না গরীব দেশগুলো দায়ী, তার থেকে বেশি দায়ী ধনী দেশেগুলো। অথচ এই কার্বন নিঃসরণের ক্ষতিকর প্রভাবের বেশির ভাগই ভুগতে হয় বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে। আগামী প্রজন্মের জন্য ‘নিরাপদ বরেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে তারা পানিসংকট সমাধানে স্থায়ী পদক্ষেপসহ প্রাকৃতিক জলাধারগুলো সুরক্ষা এবং পদ্মা নদী থেকে পানি উত্তোলন করে বৃহৎ আকারে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।

এসময় বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম এর প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- সেভ দ্যা নেচার এন্ড লাইফ সোসাইটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী, উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর গবেষক মো: শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবুসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর