প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বার ২০২৩, ১১:২৭
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, সচিব, পৌর মেয়র এবং পৌর সচিবের নামে নকল সিল বানিয়ে ব্যবহার করায় মামলায় মো. মিনাল শেখ (২০) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামপুর থানা-পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়। খবর ঢাকা পোস্ট।
গ্রেপ্তারকৃত মিনাল শেখ তিনি ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ওই ইউনিয়নের পচাবহলা গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার মনোয়ার হোসেনের ছেলে।
এর আগের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামপুর পৌর শহরের থানা ভবন সংলগ্ন জেকি ভবনের গ্রেপ্তারকৃত ওই ছাত্রলীগ নেতার দোকানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-সচিবসহ পৌর মেয়র ও সচিবের নামের নকল সিল বানিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে মর্মে গোপন খবরের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামপুর থানা ভবন সংলগ্ন জেকি ভবনে মিনাল কম্পিউটার ও ফটোকপি দোকানে ইসলামপুর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব, পৌর মেয়র এবং পৌর সচিবের নামে ১৯ টি নকল সিল জব্দ করাসহ ওই দোকানের স্বত্বাধিকারী ছাত্রলীগ নেতা মিনাল শেখকে গ্রেপ্তার করে আটক।
পরে রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক আহমেদ বাদী হয়ে জনপ্রতিনিধি ও সচিবদের ব্যবহৃত সিল তৈরি করে অবৈধভাবে ব্যবহার করার অপরাধে মিনাল শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী এসআই তারেক আহমেদ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান-সচিব এবং পৌর মেয়র ও সচিবের নকল সিল ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল মিনাল শেখ।
টাকার বিনিময়ে সে কখনো ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব সেজে পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধনে সিলমোহর দেওয়াসহ নিজেই নকল স্বাক্ষরও দিয়েছে। আবার কখনো পৌর মেয়র ও পৌর সচিব সেজেও সিলমোহর দিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মিনাল শেখের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।'
ইসলামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, মিনাল শেখ নামে একজনের দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৯ টি সিলমোহর পাওয়া যায়। যা বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও পৌর মেয়রের। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের পাঠানো হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরে আজাদ ইমরান বলেন, এই ঘটনার শোনার পরে আমি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছি। এই ঘটনায় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: