প্রকাশিত:
১৩ আগষ্ট ২০২৩, ০৩:২৬
চুরির অপবাদে প্রকাশ্যে এক যুবককে প্রায় নগ্ন করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিছির আলী বলে অভিযোগ উঠেছে । এ সময় ওই যুবককে রক্ষা করতে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করেন তিনি।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঘটনাটি বেশ কিছু দিন আগে বলে দাবি করেন অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় এক যুবককে নির্মমভাবে পেটাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা মিছির আলী। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পেটানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে যুবকের বিরুদ্ধে মোবাইলফোন চুরির চেষ্টার অভিযোগ তোলেন তিনি। পরে তাকে নগ্ন করতে জামা খুলে লুঙ্গি টানাটানি করেন তিনি। কোনোভাবে লুঙ্গি টেনে ধরে ইজ্জত রক্ষা হয় যুবকের। তবে এর মাঝেই চলতে থাকে লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত।
আওয়ামী লীগ সভাপতির এমন কাণ্ডে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, সরকার দলের প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধি হওয়ায় গায়ের জোরে এ কাজ করেছেন তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অহেতুক মিছির আলী হঠাৎ করে ইসদাইর বাজারের সঙ্গে রেললাইনের পাশে এসে এক যুবককে তার মোবাইলফোন পকেট থেকে টান দেওয়ার কথা বলেই মারধর শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় একজন তাকে থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে জানিয়েছেন উপস্থিত অনেকে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাই বলে কী আইনের ঊর্ধ্বে? যুবক যদি তার মোবাইলফোন চুরি করার চেষ্টা করে থাকেন তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে দিতে পারতেন তিনি। তা না করে প্রকাশ্যে তিনি কীভাবে একজনকে এভাবে মারতে পারেন।
এ ব্যাপারে হাজী মিছির আলী জানান, ঘটনাটি ১২-১৫ দিন আগের। তিনি ইসদাইর বাজারস্থ মসজিদে জোহর নামাজ শেষ করে বের হয়ে ভ্যানগাড়িতে করে বিক্রি করা পেয়ারা কিনছিলেন। এ সময় তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে মোবাইলফোন চুরি করে নিয়ে একটি যুবক পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি টের পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে মোবাইলফোনটি উদ্ধার করে চোরটিকে সামান্য মারধর করে ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ হয়তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিডিওটি করে রেখেছিল পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: