প্রকাশিত:
২৬ অক্টোবার ২০২৩, ১৮:০৭
হবিগঞ্জে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদসহ ৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ২-এর বিচারক মো. জাহিদুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন— চুনারুঘাট উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে নিহতের স্বামী মো. রাসেল মিয়া (২৫), নিহতের ভাশুর মো. কাউছার মিয়া (৩২), শাশুড়ি তাহেরা বেগম (৫০), ননদ হোছনা বেগম (২০) ও জা রোজি বেগম (২৭)। তাদের মধ্যে কাউছার মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ২-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর চৌধুরী। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।
নিহতের বাবা মামলার বাদী আব্দুস সাত্তার বলেন, যৌতুকের জন্য মারপিট করে জামাই, শাশুড়ি, ননদ, ভাশুর মিলে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে ৭ মাসের গর্ভবতী ছিল। আমি রায়ে সন্তুষ্ট। তবে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানাই।
মামলার সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার পঞ্চাশ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে তাহেরা খাতুন আয়েশাকে (২০) একই উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ উল্লিখিত ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। এর প্রেক্ষিতে বিচারক ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন। সূত্র: যুগান্তর
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: