প্রকাশিত:
১২ আগষ্ট ২০২৩, ০০:৫৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশ-র্যাবের যৌথ অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার নাহিদ আহমেদ রিপন (২০) গ্রেপ্তার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কানসাট বাজার এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাহিদ শিবগঞ্জের সদাশিবপুর গ্রামের মৃত রুস্তশ আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার নাহিদ গত রবিবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার দল নিয়ে চামাবাজারে অবস্থিত নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মো. রাজু নামে একজন বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীর পথরোধ করে।
দলটি ব্যবসায়ীর চোখ বেঁধে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সাথে থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা ওই ব্যবসায়ীকে মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনায় জড়িতরা সে সময় অজ্ঞাত থাকায় এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় ব্যবসায়ীর পরিবার অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত তথ্য ও থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব ঘটনাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে।
প্রথমে ওই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাং সদস্য আবু সফিয়ান সিজুকে (১৯) একটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সিজু ছিনতাই ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম ও ঘটনার বিবরণ প্রকাশ করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে ব্যবসায়ীর ঘটনায় দায়ের মামলায় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্প অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির বলেন, গ্রেপ্তার নাহিদ ও আগে গ্রেপ্তার সিজু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। প্রথমে গ্রেপ্তার সিজুর বিরুদ্ধে পূর্বের আরেকটি মারামারি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জনসাধারণ কিশোর গ্যাংয়ের এমন উৎপাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন খবরের ভিতিত্তে পুলিশ-র্যাবের যৌথ অভিযানে নাহিদ গ্রেপ্তার হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার নাহিদের বিরুদ্ধে পূর্বের কোনো মামলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা শিহাব।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: