প্রকাশিত:
৫ অক্টোবার ২০২৩, ২১:১১
রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমের সর্বোচ্চ ২৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের এ রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক।
এমন ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে রাজশাহীর নিচু এলাকা। নগরীর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক স্থানে নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন পথচারী ও যাত্রীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
নগরীর বর্ণালি মোড়, সাহেববাজার, কাদিরগঞ্জ, দড়িখড়বোনা ও রেলগেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সড়কে জমে আছে হাঁটুসমান পানি। এছাড়াও লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ভদ্রাসহ মূল শহরের বাইরের এলাকা ও অনেক বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে জলাবদ্ধতায় আটকে পড়েছে মানুষ।
নগরবাসীরা বলছেন, এই বৃষ্টি অনেকদিন ধরেই দেখা যায়নি। অনেকের বাড়িতে পানি চলে এসেছে। এরমধ্যে কষ্ট করেই থাকতে হচ্ছে। এখন পানি বের না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছু করার নেই। উপশহরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকার সড়কগুলোতেও হাঁটুপানি জমে রয়েছে। অনেকের বাড়িতেও ড্রেনের পানি ঢুকেছে। বাসিন্দারা বলছেন, এই মুহূর্তে কোনটা ড্রেন আর কোনটা রাস্তা- তা বুঝা মুশকিল বলে মনে করছেন তারা। এমন অবস্থায় সিটি করপোরেশনের প্রতি সু-নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নত বলে রাসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ বনি আহসান জানান, নগরবাসীর অসচেতনতার কারণে ড্রেন দিয়ে ঠিকমতো পানি প্রবাহিত হতে পারছে না। নগরবাসী ড্রেনে ময়লা ফেলছে। তা ছাড়া এখন এই শহরে প্রচুর ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এসব ভবন নির্মাণের বালিসহ উচ্ছিষ্ট ম্যাটেরিয়ালস ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। এতে ড্রেনের নাব্য কমে গেছে। এসব কারণে একটু বৃষ্টি হলেওই ড্রেনের পানি উপচে এসে রাস্তায় জমছে বলে মনে করেন রাসিকের এই পরিকল্পনাবিদ।
এদিকে রাজশাহীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের বেশ কয়েকদিন থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনো হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে গতকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অনেক এলাকা ডুবে গেছে। রাজশাহীসহ সারাদেশে ভারী বর্ষণ চলছে। এমন আবহাওয়া আরো দু-একদিন থাকতে পারে। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে বলে জানান আবহওয়াবীদরা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকাল বিকেল ৪টা থেকে এখন পর্যন্ত ২৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই মৌসুমে প্রথম। আজ বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। বিকেল ৩টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ তাপমাত্র ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: