প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২১:৩০
রাজশাহীর বিভাগীয় শহরের অন্যতম মাছ বিক্রয় কেন্দ্র নগরীর সাহেববাজার। এ বাজারে এখন এক কেজি ইলিশের মূল্য ১৭৫০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭৫০ টাকায়। সে হিসেবে এক ইলিশের দামে দুই কেজিরও বেশি গরুর মাংস পাওয়া যাবে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায় নিরবতা। আগের মতো সরগরম নেই। মাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ী কিছু ইলিশসহ অন্যান্য জাতের মাছ বিক্রি করছেন। বিক্রির জন্য নেই আগের মত হাঁকডাক। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেক ব্যবসায়ী আর শ্রমিকরা অবসরে বসে আছেন, আবার কেউ আড়তেই ঘুমাচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নদীতে মাছের পরিমাণ কমে গেছে। জেলেদের জালে মাছ আটকা পড়ছে না। সারাদিন নদীতে মাছ শিকার করে অল্প পরিমাণে নিয়ে আড়তে ফিরছেন জেলেরা। ইলিশের পরিমাণ একেবারেই কমে গেছে। দু-একটি ধরা পড়লেও তা সাইজে খুবই ছোট। একারণেই মূলত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
নগরীর শিরোইল এলাকা থেকে কয়েকজন যুবক ইলিশ কিনতে এসেছেন। দরদাম করছেন। কিন্তু তাদের বাজেটের মধ্যে না হওয়ায় কিনতে পারছেন না। আড়ত ঘুরে ঘুরে দেখছেন। প্রায় প্রত্যেক আড়তেই ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।
নগরীর উপশহর এলাকা থেকে বাজার করতে এসছেন আব্দুল আজিজ মিয়া। তিনি বলেন, গরু খাবো নাকি ইলিশ, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। এক কেজি ইলিশের বিনিময়ে দুই কেজির বেশি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে ইলিশ না খেয়ে গরু খাওয়া তো অনেক ভালো।
রাজশাহী শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ প্রতিকেজি ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় কেজি প্র্রতি ২০০ থেকে ৩০০ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু ইলিশ মাছ নয়; ছোট বড় প্রায় সব মাছ কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা মাছ বিক্রি ১৩০০ টাকা, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে, রুই ৪০০ টাকা, চিংড়ি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছে দাম বাড়লেও মাংসের বাজার রয়েছে স্বাভাবিক। গরুর মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। আর খাসির মাংশ ১২০০ টাকা করে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগী ১৮০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা।
রাজশাহীর সাহেব বাজারের মাংস বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, গত এক বছর ধরে গরুর মাংস সাতশত থেকে আটশো টাকার মাঝেই আছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি মাংসের বাজার স্বাভাবিক রাখার। যাতে করে, নিম্ন থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মাংস খেতেও কিনতে পারে।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: