[email protected] শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪, ১৭ই কার্তিক ১৪৩১

ছাত্রলীগ নেতা মনা খুনের নেপথ্যে অবৈধ বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ

পাবনা

প্রকাশিত:
১৮ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২৩:৩০

সংগৃহীত ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ নেতা তাফসির আহমেদ মনা (২৪) খুনের নেপথ্যে পদ্মা নদীর অবৈধ বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি।

নিহত তাফসির আহমেদ মনা উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর পাকারাস্তা মোড় এলাকার তাইজুর রহমান তুহিনের ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঈশ্বরদীর নতুন রূপপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মানিক হোসেন (৩৬) ও আজিজ প্রামাণিকের ছেলে রাজিব প্রামানিক (৩০), সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মুহিদুল হকের ছেলে ফসিউল আলম অনিক (২৭), রূপপুরপাড়া এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে চমন রহমান (৩৮), চর সাহাপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে শাহিন সরদার (২৮), চররূপপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২), সলিমপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন অবুঝ (৩৭), চররূপপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও লক্ষীকুন্ডা গ্রামের মাহফুজুর রহমান কালা (৩৫)।

পুলিশ সুপার বলেন, মনা গত ১৭ জুন রাতে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এমপি মার্কেটে ইকবালের অফিসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ৩ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের এ্যাপ্রোন ও হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেলযোগে এসে মনাকে ৫/৬ রাউন্ড গুলি করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। নিহত ছাত্রলীগকর্মী মনার মা নাহিদা আক্তার লিপি বাদী হয়ে ঘটনার দুইদিন পর ১৯ জুন ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূলহোতা অনিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অনিকের দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গাজীপুর, কুষ্টিয়া এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী মানিকসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানকালে জিগাতলা এলাকায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধানসহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এবং ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামিদের সাথে মনা পরিবারের দীর্ঘদিনের শত্রুতা, চাঁদাবাজি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ আছে। বালু মহলও আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম কারণ। আসামিদের মধ্যে অবুঝের বিরুদ্ধে পাঁচটি, কালার বিরুদ্ধে ৪টি, মানিকের বিরুদ্ধে ১১টি, চমনের বিরুদ্ধে ১০টি, অনিকের বিরুদ্ধে ৫টি, রাজিবের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, ঈশ্বরদীর ওসি অরবিন্দ সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর