স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগিয়ে গাঁজা পাচারের সময় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার লালোর বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে নুর আলিম সরকার মিলন (৩৭), আবু হোসেনের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (৩৬), জয়নাল আবেদীনের ছেলে হোসাইন আহম্মেদ (২৩)।
এদিন দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহা. জিললুর রহমান।
জিললুর রহমান বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের স্ট্রিকার গাড়িতে ব্যবহার করে একটি চক্র মাদক চোরাচালান করছিল।
তারা বিভিন্ন কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছিল। চক্রটি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে আসছে এমন তথ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিকট আসে।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে একটি গোয়েন্দা দল নাটোরের লালোর বাজারে অবস্থান নেয়। এমন সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার যুক্ত একটি সরকারি গাড়ি আসে।
তল্লাশি করে গাড়ির মাঝখানে সিটের পেছনে রক্ষিত টয়োটা মাইক্রোবাস থেকে পাঁচটি বড় প্লাষ্টিক বস্তা পাওয়া যায়। পরে বস্তার ভিতর থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ১৫০ কেজি উদ্ধার হয়।
অপর একটি হায়েস টয়োটা মাইক্রোবাস তল্লাশি করে পিছনের সিটের উপরে তিনটি প্লাস্টিক বড় বস্তার ভিতর রক্ষিত অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ৯০ কেজি।
সর্বমোট ২৪০ গাঁজা কেজি এবং মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত জিপ গাড়ী ও হায়েস টয়োটা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। আসামিদের বিরদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জেলহাজতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরকারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার যুক্ত গাড়িতে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। এর আগেও এভাবে সরকারি স্টিকারযুক্ত গাড়িতে গাঁজা ধরা হয়েছে।
মাদক চোরাকারবারীরা নতুন এই পদ্ধতি ব্যবহার করে গাঁজা পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে আরও গোয়েন্দা নজরদারী বাড়াচ্ছি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এমএএইচ/এফএস
মন্তব্য করুন: