[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

অশিক্ষিতদের হাতে বাংলাদেশ চলতে পারে না

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০২:২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঙালি। আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামেন। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল মুক্তিকামি মানুষের মুক্তির জন্য।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণে ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর কালেরকণ্ঠ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একই সঙ্গে আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও হত্যা করা হয়। যিনি সব সময় আমার বাবার পাশে ছিলেন।

পাশে থেকে আমার বাবাকে সব সময় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। পঁচাত্তরের পর আমি যখন দেশে ফিরি তখন কোনো বাধাই আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি কাউকে ভয় পাইনি, বাবার স্বপ্ন পূরণ করবই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আর আমরা ছাত্রদের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। সেজন্যই বলি অশিক্ষিতদের হাতে বাংলাদেশ চলতে পারে না। দেশের উন্নতি হতে পারে না।

সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এমনকি পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করে।

এ ছাড়া ২০০৭ সালে ইমারজেন্সির সময় ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করেছে। সেই এক-এগারোর সময়েও ছাত্রলীগ কোনো আপস করেনি তারণ্যের শক্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যে ছাত্রসংগঠন তৈরি তাদের মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এর আগে সমাবেশে যোগ দিতে সারাদেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসেছেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই তারা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করে সমাবেশস্থলে যান।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর