প্রকাশিত:
৩১ আগষ্ট ২০২৩, ০২:০৫
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও কিছু ধারা পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া করা হয়েছে, সেখানে প্রকৃতপক্ষে কিছুই পরিবর্তন হয়নি।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনের নতুন ধারা ও পরিবর্তন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। খবর ইত্তেফাক।
সাইবার নিরাপত্তা আইনকে ‘কালো আইন’ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ডিজিটাল আইন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে যে, এটি একটি ‘কালো আইন’। সাইবার নিরাপত্তা না দিয়ে এই আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল আইন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে যে, এটি একটি ‘কালো আইন’। সাইবার নিরাপত্তা না দিয়ে এই আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে। যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হয়, তখন আমরা এটা বাতিল করতে বলছিলাম।
এবার যখন সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া বানানো হলো, সেটিও একই রকম রয়েছে। শুধু কিছু অংশে পরিবর্তন আছে, যা পরিষ্কার নয়। অনেক ক্ষেত্রে হুবহু কপি পেস্ট করা হয়েছে। এই আইন যদি এভাবে পাস হয়, তাহলে আবার এটাকে বাতিল করার আহ্বান করবো।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই খসড়া আইনের প্রক্রিয়া ও বিবেচনা উভয়ই বিতর্কিত। এই সরকারের আমলে একটা ইতিবাচক দিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে কোনো আইন পরিবর্তন বা পরিমার্জনের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হতো। তবে এই আইনের বেলায় তা নেওয়া হয়নি। শুধু ১৪ দিনের সময় দিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এখনো সুযোগ আছে মতামত নেওয়ার।’
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম ডিজিটাল আইন ও খসড়া আইনের পার্থক্য তুলে ধরেন।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: