[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

প্রশ্ন মঈন খানের 

একজন মানুষকে এত ভয় কেন?

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৯ আগষ্ট ২০২৩, ০১:৪৯

ড. আবদুল মঈন খান। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য অনলাইন থেকে সরাতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। 

তিনি মনে করেন, সরকার তারেক রহমানকে ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই তার বক্তব্য সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘এতো ভয় কেন? একজন মানুষকে কেন ভয়? তার কারণ তারেক রহমান আজকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পৌঁছে গেছেন এবং এই সরকার আজকে জনগণকে ভয় পায়।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম’৭১ এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর যুগান্তর।

হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সোমবার তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন। এরপর এই আলোচনা সভায় মঈন খান বলেন, আমরা শুনেছি একটি নির্দেশ এসেছে। কি নির্দেশ?

একজন মানুষ তিনি বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার মাইল দূরে বসবাস করেন। তার কথা, বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা কোনো রকমের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন কোথাও কেউ কিছু উল্লেখ করতে পারবেন না। সেখান থেকে সরিয়ে দিতে হবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়াকে কেন মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করেছে। আজকে স্পষ্টভাষায় আমাদের এটা বুঝতে হবে।  খালেদা জিয়াকে এই সরকার ভয় পায়। কেন ভয় পায়? খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের কথা বলেন এই কারণে।

সরকার ভেবেছিল, খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে দিলে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ তারা চুপ হয়ে যাবে, তারা আর গণতন্ত্রের কথা বলবে না। আসলে এটা তো অলিক কল্পনা, এটা তো হতে পারে না।

এই বিএনপি নেতা প্রশ্ন করেন– ‘পৃথিবীর কোনো সরকার কি পেরেছে? কোনো সরকার, তার যত বন্দুক, কামান, গোলা থাকুক না কেন, তারা কি মানুষের ভাষাকে বন্ধ করে দিতে পেরেছে? পারেনি। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, বাংলাদেশের মানুষ কোনদিন চুপ করে থাকে না।

জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম’৭১ এর সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বক্তব্য দেন।

 

বাংলা গেজেট/এফএস

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর