প্রকাশিত:
২৬ আগষ্ট ২০২৩, ১৯:২৮
এবার আতপ চালের ওপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এর আগে বাসমতি চাল ব্যতীত সব ধরনের সেদ্ধ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো দেশটি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আতপ চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশের এই পদক্ষেপের ফলে সারাবিশ্বে চাল সরবরাহ কমে যেতে পারে এবং চালের দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে চাল বিক্রি হচ্ছে, তা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভারতে সেদ্ধ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল আতপ চালের। আর তাতেই লাগাম টানতে আতপ চালেও এই অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয় রপ্তানিকারকদের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ২০২২ সালে ৭৪ লাখ টন আতপ চাল রপ্তানি করেছিল।
রপ্তানিকারকরা জানান, গত মাসে সেদ্ধ চাল রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী সেদ্ধ চালের দাম ২৫ শতাংশের বেশি বেড়ে গিয়েছিলো। তবে গত কয়েকদিনে তা কিছুটা কমে আসলেও নতুন এই সিদ্ধান্তে আবারও বাড়বে চালের দাম।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিভিত্তিক একটি চাল রপ্তানি সংস্থার ডিলার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সেদ্ধ চালের তুলনায় আতপ চালের দাম কম। গত মাসে সরকার সেদ্ধ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের কাছে আতপ চালের চাহিদা বাড়ছিল।’
তিনি আরও জানান, আতপ চালে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক জারির ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় আতপ চালের দাম এখন থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানের চালের সমপর্যায়ে চলে যাবে। তাই বেশি দামে চাল কেনা ছাড়া ক্রেতাদের সামনে আপাতত আর কোনো বিকল্প নেই।’
বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারী দেশ ভারত। আন্তর্জাতিক বাজারে মোট চালের যোগানের ৪০ শতাংশেরও বেশি আসে ভারত থেকে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে চালের উৎপাদন কম হওয়ায়, আভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার। সূত্র: দেশ রূপান্তর
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: