প্রকাশিত:
২৬ আগষ্ট ২০২৩, ০২:৪৬
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার নতুন নাটক করছে, জঙ্গি নাটক। আরে জঙ্গি নাটক তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ওই জঙ্গি খেলা আর চলবে না। ওই জঙ্গি খেলা বিশ্ববাসী কেউ বিশ্বাস করে না। আবার নাকি জঙ্গি সংগঠন বেড়েছে। আরে আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় জঙ্গি-সন্ত্রাসী দল বিশ্বের কোথাও নেই।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজিত কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন। খবর সমকাল।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেন, তখন তারা আর পিছপা হন না। স্বাধীনতা যুদ্ধে পিছপা হয়নি, ভাষা আন্দোলনে পিছপা হয়নি। যেবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে , সেবারই তার প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, সরকারি কর্মকর্তা, বিচারক ভাইয়েরা জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না।
সবার উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে তিনিবলেন, দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। দেখুন কী লেখা আছে? সিদ্ধান্ত নিন। জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে অবস্থান নেবেন না। আর নিলে সে দায় আপনাদের ওপরেই বর্তাবে।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন , প্রধানমন্ত্রী পরিবার সহকারে দলবল নিয়ে জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে দক্ষিণ আফ্রিকা গেছেন। কীসের জন্য? গিয়েছেন ব্রিকস সদস্য হবেন। কিন্তু কী হয়েছে?
সরকারপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রত্যেক জায়গায় আপনি প্রত্যাখ্যাত হবেন। সবাই অবৈধকে প্রত্যাখ্যান করবে।
কালো পতাকা মিছিলে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আমীর খসরু বলেন, একটি ছবি দেখবেন প্রধানমন্ত্রী গেছেন। কিন্তু ব্রিকস একটি অফিসিয়ালি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে আমাদের এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী নেই। ব্রিকসের এখানে সদস্য হোক আর না হোক, সবাই ছবি তুলেছেন। প্রবাল মিথ্যাচারের রাজনীতি আর বাংলাদেশে চলবে না।
কালো পতাকা মিছিলটি শ্যামলী লিংক রোড থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়। মিছিলটি মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ হয়ে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: