[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৫০

ছবি : সংগৃহীত

‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- পূর্বে উত্থাপিত ছাত্র হত্যার দায়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। দেশবাসীর প্রতি আহবান, আপনারা কোনো প্রকার বিভ্রান্ত হবেন না। যে কোটার জন্য সরকার এতোগুলা মানুষকে হত্যা করেছে, সেই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ও ছাত্রলীগের আক্রমণে নিহত শত শত শহীদের আত্মত্যাগ তিরস্কার করে ডিবি কার্যালয়ে বন্দুকের নলের মুখে জিম্মি করে সমন্বয়কদের মাধ্যমে জোরপূর্বক স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি আদায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের দাবি আদায়ে আমরা অবিচল ছিলাম, রয়েছি এবং থাকব।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের টেলিগ্রামে লেখেন, ‘সমন্বয়কদের জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে যে স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হইছে, সেটা কখনোই জাতির নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আটককৃত সমন্বয়করা ভয়ভীতির মুখে গোয়েন্দা সংস্থার লিখে দেওয়া যে বক্তব্য কেবল রিডিং পড়ে গেছে, আমরা সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি এবং একইসঙ্গে জোরপূর্বক বক্তব্য আদায় করার মতো সরকারের এমন জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সিনিয়ররা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল, সমন্বয়কদের মাঝে এক গ্রুপকে তুলে নিয়ে গেলে বাকিরা নেতৃত্ব দেবে। কাউকে যদি আটক করে জোরপূর্বক কোনো বিবৃতি আদায় করা হয় তবে আমরা সেটা না মেনে যারা মাঠে থাকব, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ ফেসবুকে লিখেন, “গণস্বাস্থ্য থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে নাহিদ ভাই, আসিফ ভাই এবং বাকের ভাই তিনজনই স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি না-ও থাকি আন্দোলন চালাইয়া নিবা, আন্দোলন যাতে থেমে না থাকে। আমাদের ওপর অনেক ঝড়-ঝাপটা যাবে, যারা বাইরে থাকবে তারাই অন-কমান্ডে থাকবে।’ তাই সিনিয়রদের শেষ কথাগুলোকে বুকে ধারণ করেই আমরা আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জোরপূর্বক আদায় করা বিবৃতি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে।”

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার মধ্যে আরও রয়েছেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মো. মাহিন সরকার, সহ-সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, খান তালাত মাহমুদ রাফি (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবৃতি আদায় ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর