প্রকাশিত:
১৮ আগষ্ট ২০২৩, ০২:৪১
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ওয়েবসাইট থেকে তথ্য চুরি করে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন করে ঘুষ চেয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি প্রতারক চক্র। গত রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর রমনা থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম সোমবার যাত্রাবাড়ী, মুগদা ও এয়ারপোর্ট এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে চক্রটির চারজনকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার থেকে তারা তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছেন। খবর সমকাল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ডিবি লালবাগের ডিসি মশিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, দুদকের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অভিযোগ গঠন, অভিযোগ হতে অব্যাহতি, দায় মুক্তি সংক্রান্ত তথ্য চুরি করে কিছু কনস্ট্রাকশন ঠিকাদার ও ভুয়া সাংবাদিক মিলে বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফোন করে দুদকের মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপ-পরিচালকদের নামে কোটি কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছিল। গত রোববার রমনা থানায় এ সংক্রান্ত মামলা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সেলিম ওরফে তানভীর ইসলাম ওরফে শফিকুর রহমান (৩৯), মো. সোহাগ পাটোয়ারী (৩৮), আব্দুল হাই সোহাগ (৩৮) ও মো. আজমীর হোসেন (৩৭)। তাদের হেফাজত থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সাতটি মোবাইলফোন, ১০টি সিম, কর্ডলেস মাউথপিস, পত্রিকা, মানবাধিকার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাতটি ভুয়া আইডি কার্ড, দুদক কর্তৃক বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রতিবেদন ১২টি এবং বিভিন্ন ব্যক্তির ফোন নম্বর লেখা তিনটি নোটবুক উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি জানায়, এর আগে গত জুনে আরেকটি মামলায় তিনজন প্রতারকের সঙ্গে দুদকের একজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রতারকরা দুদকের যে উপ-পরিচালকের নাম ব্যবহার করেছিল তার বা তার আত্মীয়দের সঙ্গে প্রতারকদের সম্পর্ক আছে কি না ডিবি পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: