[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

চিকিৎসককে হুমকি জামায়াতের সন্ত্রাসী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৬ আগষ্ট ২০২৩, ২৩:৪৯

আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি

চিকিৎসককে হুমকি দিয়ে জামায়াত তাদের নোংরা সন্ত্রাসী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তিনি এ কথা বলেন। খবর কালেরকণ্ঠ।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসা দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসক রাজধানীর ধানমণ্ডি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

জিডিতে ভুক্তভোগী চিকিৎসক জামান উল্লেখ করেন, তিনি বিএসএমএমইউতে হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। গত রবিবার (১৩ আগস্ট) রাতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন। বিএসএমএমইউয়ের হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাঈদী।

গত সোমবার (১৪ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

চিকিৎসক জামান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের একজন সদস্য হিসেবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ইউটিউবে বিভিন্ন আইডি থেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

জিডিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘আমি বর্তমানে কতিপয় ব্যক্তির আচরণে ভীত-শঙ্কিত। কয়েকটি ফেসবুক ও ইউটিউব পেজের ব্যবহারকারী এবং তাদের অনুসারী ব্যক্তিরা যেকোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন, জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

এ কারণে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি জিডি করেন তিনি।

ধানমণ্ডি থানায় জিডি দায়ের করার পর ভুক্তভোগী চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একজন সাধারণ রোগীকে যেভাবে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করি, তাকেও (সাঈদী) সেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসায় কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটেনি। আমরা তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েছি, কোনো রকম ভুল চিকিৎসা বা অপচিকিৎসার ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে সাঈদীর চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিএসএমএমইউ।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর