প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বার ২০২৩, ১৫:৪৭
মার্কিনিরা যেন আমাদের মানবাধিকার না শেখায়। বরং বাংলাদেশ তাদের মানবাধিকার শেখাবে। যারা আমাদের মানবাধিকার শেখাতে চায়, তাদের মাস্টার আমরা বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দরিদ্র হ্রাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ বিস্তার, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস ও নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক নানান সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ সফলতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন, ‘আমি ভুক্তভোগী, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যেন ভুক্তভোগী না হয়।’ এতবড় মহান ব্যক্তিকে আমি শুভেচ্ছা জানাই।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সংকট মোকাবিলায় দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মানবিকতার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হবে। সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতকরণ ও নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, যারা মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা, তারা কী বললো? গাজায় প্রতিদিন হত্যা চলছে। সারেন্ডারের পর হত্যা জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন। যখন যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিলো জাতিসংঘ তখন মানবতার ফেরিওয়ালা যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলো।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত মানবাধিকার দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
মন্তব্য করুন: