প্রকাশিত:
৪ ডিসেম্বার ২০২৩, ১৯:০৯
অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে এটা চিন্তা করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য আমাদের নেত্রী ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের পর কোন ধরনের অর্থনৈতিক চাপ বা অবরোধের আশঙ্কা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু সমস্যা তো আছেই। এই যে নাশকতার একটা ক্ষতি আছে, হরতাল অবরোধের ক্ষতি আছে- সেটা তো আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। নতুন পরিস্থিতর উদ্ভব হতে পারে, অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে এটা চিন্তা করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য আমাদের নেত্রী ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যথা ব্যবস্থা যথাযথ সময়ে নেয়ার চিন্তা রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অযোগ্য বিবেচিত হলে দলের পক্ষ থেকে কিছু করার নেই। আপিল করে যদি তারা না টিকে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কারো পক্ষে চাপ প্রযোগ করতে যাবো না। তারা যদি নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান অনুযায়ী বাদ পড়ে। তাহলে আমরা তো কারো পক্ষপাতিত্ব করব না।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সারা বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তাতে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। তারা (বিএনপি-জামায়াত) যতো বাধাই সৃষ্টি করুক না কেন মানুষ নির্বাচনমুখী, মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। যারা নির্বাচনে বাধা দিবে জনগণই তাদের বাধা দিবে। ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।
মন্ত্রী বলেন, আজকে তারা চোরাগুপ্তা পথ বেছে নিয়েছে। অগ্নি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। নিরীহ বাসের হেলপারকে আগুনে পুড়িয়ে মারছে। ট্রেন বাসে আগুন দিয়ে অন্ধকারের এসব অপকর্ম তারা করে যাচ্ছে। বিএনপি এ কথা ভালো করেই জানে, বাধা দিয়ে তারা নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
বিএনপি খারাপ মতলব দিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য সার্থক হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বিদেশি বন্ধুরা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনো পর্যন্ত দেশের কোথাও কোন সংঘাত সৃষ্টি হয়নি। যেটুকু হচ্ছে সেটা বিএনপি ও তার দোসররা করে যাচ্ছে। যে কোন নাশকতা পরাজিত হবেই এবং জনগণের শক্তি বিজয়ী হবে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমাবেশ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই শহরের কয়েক মাস ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ করেছে। কোথাও কোন সংঘাতের নজির নেই। ১০ তারিখ মানবাধিকার দিবস। ইতোমধ্যে আমরা নির্বাচন কমিশনে অনুমতি চেয়েছি। আমরা সমাবেশ করতে চাই। এখানে কোন পাল্টাপাল্টি বিষয় নেই।
নির্বাচন নিয়ে কোন চাপ অনুভব করছেন কিনা? এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে তারা বাধা দিতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না। আমাদের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পেইন চলছে। নির্বাচন পরিচালনায় বিভিন্ন কমিটি কাজ করছে। তাদের এই নাশকতা আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারিনি।
নির্বাচনের মাধ্যমে শক্তিশালী বিরোধীদল আসবে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন হলেই সেটা পরিষ্কার হবে। যেহেতু সরকারি দল থাকবে, সেহেতু বিরোধী দলও থাকবে। সরকার বিরোধী অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। যদি সত্যিকার অর্থে অন্যান্য দল নিজেদের দাঁড় করাতে পারে মজুদ একটা ভিত্তির ওপর। তাহলে পজিশন স্ট্রংগার হবে। শক্ত গণতন্ত্রের জন্য শক্ত বিরোধী দল দরকার। আমরা সেটা চাই।
কয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প চিন্তা আছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, যাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। তারা আপিল করতে পারে। আপিল করে যদি তারা না টিকে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কারো পক্ষে চাপ প্রযোগ করতে যাবো না। তারা যদি নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান অনুযায়ী বাদ পড়ে। তাহলে আমরা তো কারো পক্ষপাতিত্ব করব না।
১৪ দলীয় জোটের আসন ভাগাভাগির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোর যেহেতু আছে, এতে কিছু আসন ভাগাভাগি হবেই। তবে বিজয়ী হবে না এমন কোন প্রার্থীকে আমরা সমর্থন দিতে পারি না। শুধু জোটের দিকে তাকিয়ে নয়, নির্বাচিত হবে এমন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলী সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমূখ।
মন্তব্য করুন: