[email protected] শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪, ১৭ই কার্তিক ১৪৩১

বায়তুল মোকাররমে সাঈদীর গায়েবানা জানাজার চেষ্টা

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৬ আগষ্ট ২০২৩, ০১:২৪

বায়তুল মোকাররমে সাঈদীর গায়েবানা জানাজার চেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অনুসারী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর যুগান্তর।

জানা গেছে, মসজিদের ভেতরে শোক দিবসের দোয়া চলাকালে গায়েবানা জানাজা পড়ার চেষ্টা করে সাঈদীর অনুসারী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ নিয়ন্ত্রণে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে তারা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের দোয়া মাহফিল হচ্ছিল। এ সময় সাঈদীর অনুসারী ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সদস্যরা হট্টগোল সৃষ্টি করে।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে জামায়াতের অনুসারীরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দীন মিয়া বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণ এলাকা থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুর নিয়ে যেতে চাইলে সেখানে বাধা দেন দলটির নেতাকর্মীরা। এতে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৫টার পর এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে কয়েক দফা চেষ্টা করেও মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল থেকে বের করা যায়নি।

রাতভর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখেন সাঈদীর ভক্তরা। তাদের দাবি ছিল, ঢাকায় সাঈদীর জানাজার নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য। কিন্তু পুলিশ তাদের অনুমতি না দিয়ে মরদেহ পিরোজপুর নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু জামায়াত নেতাকর্মীরা বাধা দেওয়ায় হাসপাতাল থেকে বের হতে পারেনি সাঈদীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি।

অবশেষে ভোর ৫টার দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে প্রবেশ করে পুলিশ। এ সময় সাঈদীর ভক্তদের পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএমএমইউ প্রাঙ্গণ দখলে নেয় পুলিশ।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর