প্রকাশিত:
৩ ডিসেম্বার ২০২৩, ১০:৫০
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক প্রার্থী। অনেকে আবার শোডাউন করছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন জনসভা ও সংবর্ধনার মতো অনুষ্ঠানে।
এমন অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধেও। মাঠপর্যায়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় লাগাম টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের। মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে থেকে শনিবার পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। খবর যুগান্তর।
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১৮ ডিসেম্বরের আগে প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়। এ নির্বাচনে দুই হাজার ৭১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ২৯টি রাজনৈতিক দল। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে অনেক সংসদ-সদস্য স্বতন্ত্র হিসাবেও নির্বাচন করছেন।
ইসি সূত্র জানায়, ঢাকা-২০ আসনের প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেনকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় শুক্রবার শোকজ করেছেন এ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি হরিদাস কুমার। একই আসনের আরেক সংসদ-সদস্য খান মোহাম্মদ ইসরাফিলকেও শোকজ করেন তিনি।
একইদিন আরও কয়েকজন প্রার্থীকে শোকজ করে কমিটি। সবচেয়ে বেশি শোকজ করা হয় বৃহস্পতিবার। ওইদিন ২০ জনের বেশি প্রার্থীকে শোকজ করা হয়।
এদিকে ১৮ ডিসেম্বরের আগে প্রচার শুরুর সুযোগ নেই জানিয়ে শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়েছে, আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটের ২১ দিন আগে কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে যেকোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের সময় ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টকশো এবং পত্রপত্রিকায় কিছু বিশিষ্টজন মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
ইসির মতে, গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বিষয়টি মোটেও কাম্য নয় বলেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে যুগান্তর জানাচ্ছে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সংসদ-সদস্য আবু রেজা নদভীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
শুক্রবার ওই আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। দুদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দুদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মাদারীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি তাকে তলব করেছে এবং অভিযোগকারী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তাহমিনা বেগম ও তৌফিকুজ্জামানকে সশরীরে হাজির হয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনসংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক বন্ধ রেখে সমাবেশ করায় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিলেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
শনিবার বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা আদালত-২ এর বিচারক ও নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ফাহমিদা খাতুনের আদালতে তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
মৃণাল কান্তি দাস বলেন, সেদিনের ঘটনাটি অনভিপ্রেত। আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকার মানুষ উচ্ছ্বসিত ছিল। ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ পৌঁছলে সাধারণ মানুষ আমাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস করেছে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: