প্রকাশিত:
২৯ নভেম্বার ২০২৩, ১১:২৭
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেনাবাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হতে পারে। তবে সেনা মোতায়েন হবে কি না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনাররা বলছেন, সে সম্ভাবনা রয়েছে। খবর ইত্তেফাক।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেনাবাহিনী নিয়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। যদি প্রয়োজন মনে করি, চাইলে সরকার আমাদের দেবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, নির্বাচনের আগে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আগের জাতীয় নির্বাচনগুলোতে যেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল, সেহেতু এবারের নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, বিজিবি, রেব, আনসার ও কোস্ট গার্ডের জন্য গত ২০ নভেম্বর বাজেট নির্ধারণ হলেও সেনাবাহিনীর জন্য এখনো তা হয়নি। এ বিষয়ে গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলে কতদিনের জন্য কতজন সদস্য নিয়োগ করা হবে সে অনুসারে বাজেট বরাদ্দ হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের সাত দিন আগে থেকে পরের দুই দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এছাড়া মোতায়েনের এক সপ্তাহ আগে ঐ বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনি এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনি পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
অনলাইন মনোনয়নে সাড়া নেই, জমার শেষ দিন কাল : নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রক্রিয়াকে সহজ ও প্রভাবমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিল ব্যবস্থাপনায় (অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম-ওএনএসএস) প্রার্থীদের তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রায় শেষ হয়ে এলেও অনলাইনে তেমন সাড়া পড়েনি। এ পর্যন্ত ১১০ জন নিবন্ধন করেছেন। আর জমা দিয়েছেন দুই জন।
এদিকে নির্বাচন দেখতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া ৩৮টি দেশ ও চারটি সংস্থার ১১৪ জন পর্যবেক্ষককে ভোট দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তাই শুধু নয়, যারা নিজ খরচে আসবেন; তারা কোন হোটেলে থাকবেন, কোন এলাকায় পর্যবেক্ষণে যাবেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সব মিলিয়ে কমপ্লিট সিদ্ধান্ত নিতে এ সভা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন কমিশনের যে বৈদেশিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা আছে, তা অনুসরণ করে যারা নিজ খরচে পর্যবেক্ষণ করতে চান তাদের আগমন এবং ইসি থেকে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেই আমন্ত্রিত মেহমানদের কীভাবে একটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া।
ইসির প্রস্তুতির বিষয়ে সচিব বলেন, বিদেশি মেহমানদের জন্য বিমানবন্দরে একটা হেল্প ডেস্ক করা হবে। যাতে সহজেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে নির্ধারিত হোটেলে যেতে পারেন। সেখানেও একটা হেল্প ডেস্ক করে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তারা যেন নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য নিতে পারেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে। হঠাৎ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: