প্রকাশিত:
২৮ নভেম্বার ২০২৩, ১১:৪৬
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপে সাধারণ ঋণের পাশাপাশি কৃষিঋণের সুদহারও বাড়ানো হলো। এখন থেকে কৃষিঋণের সুদহার হবে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা আগে ১০ শতাংশের নিচে ছিল। একই সঙ্গে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদহারও বেড়েছে। খবর দেশরূপান্তর।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রি-শিপমন্টে রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লীঋণের সুদহার নির্ধারণ করতে স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন দেওয়া হয়েছে, এত দিন যা ছিল আড়াই শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্যাংকঋণে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করা যাবে। এত দিন এটি সাড়ে ৩ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল।
নতুন নির্দেশনার কারণে বিতরণ করা ঋণে গ্রাহকপর্যায়ে সুদহার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ। নতুন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ধার নেওয়ার খরচ যেমন বাড়বে, তেমনি গ্রাহকপর্যায়ে ঋণ সুদহারও বাড়বে।
নতুন সুদহার অনুযায়ী, প্রি-শিপমন্টে রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লীঋণের সুদহার নির্ধারণ করতে হবে স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, এত দিন যা ছিল আড়াই শতাংশ। এতে প্রি-শিপমন্টে রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লীঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংক।
এর আগে গত রবিবার নীতি সুদহার হিসেবে পরিচিত ওভারনাইট রেপো সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ করে। এত দিন যা ছিল ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এর আগে সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রেপো সুদহার শূন্য দশমিক ৭৫ বেসিস পয়েন্ট ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। একক সিদ্ধান্তে রেপো রেট বাড়ানোর এ হার ছিল গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।
দুই সংখ্যার ঘরে ছুঁই ছুঁই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গত জুলাই থেকে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে গত প্রায় পাঁচ মাসে তিন দফায় সুদহার বাড়ানো হলো।
নীতি সুদহার বা ওভারনাইট রেপো সুদহার বাড়ানোর সঙ্গে বাড়বে সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) হারও। ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির পর এসএলএফ হার হবে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ, এত দিন যা ছিল ৯ দশমিক ২৫।
সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদহার হবে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, এত দিন যা ছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: