চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৯২ হাজার ৩৬৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। গতবারের তুলনায় এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ কমেছে। আর রাজশাহীতে রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত বছর ছিল পাশের হার ছিল ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ বছর রাজশাহী বোর্ডেও ১১ হাজার ২৫৮ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। ২০২২ সালে পেয়েছিল ২১ হাজার ৮৫৫ জন। এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র ৫ হাজার ৪৪৫ জন। আর ছাত্রীর সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৩ জন। গত বছরের চেয়ে এবার ১০ হাজার ৫৯৭ জন কম জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। যা গত বারের প্রায় অর্ধেক। তবে ব্যতিক্রম নয়; দেশসেরা রাজশাহী কলেজ। শতভাগ পাস থাকলে গত ২ বছর ধরে কমতেই আছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা।
গত তিন বছরের রেজাল্ট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১ সালে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৫১৪ জন এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৫১০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ৩০৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৩০৪ জনই। এছাড়া মানবিক শাখা থেকে ১০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০৫ জনই পেয়েছিলেন জিপিএ-৫। আর ব্যবসায়িক শিক্ষা থেকে ১০৫ জনের মধ্যে ১০১ জন পেয়েছিলেন জিপিএ ৫। আর বাকি ৪ জন পেয়েছিলেন এ গ্রেড।
আর ২০২২ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪৭০ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৫৩ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৭৬ জনের মধ্যে ২৭৬ জনই পেয়েছিলেন জিপিএ-৫। মানবিক বিভাগ থেকে ১০৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৯ জন পরীক্ষার্থী পেয়েছিলেন জিপিএ-৫ আর এ গ্রেড পেয়েছিলেন পাঁচ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৯০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৮ জন পেয়েছিলেন জিপিএ-৫ ও ১২ জন পেয়েছিলেন এ গ্রেড।
অন্যদিকে এবার ২০২৩ সালে মোট পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৪৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নেন ২৬৪ জন। এতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৪৮ শিক্ষার্থী। এ গ্রেড পেয়েছেন ১৬ জন শিক্ষার্থী। মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নেন ৯২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮১ জন শিক্ষার্থী আর এ গ্রেট পেয়েছেন ১১ জন শিক্ষার্থী। ব্যবসায়ী শিক্ষা থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন ৯৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮৩ জন। এ গ্রেড পেয়েছেন ৯ জন আর একজন পেয়েছেন এ মাইনাস।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের প্রস্তুতি, সমর্পণ, এবং অভ্যন্তরীণ ইচ্ছাশক্তি তাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার সাহায্য করেছে।
এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করতে, শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতির প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তারা পাঠ্যপুস্তক, নোট, ও অন্যান্য শিক্ষামূলক সামগ্রী দেখতে পারে এবং প্রস্তুতির জন্য সঠিক সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা: আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবক সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলে এ ফলাফল হয়েছে। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে তারপরেও সামান্যতম অতৃপ্তি থেকে গেছে যে, ৩৭ জন এ প্লাস পাইনি। আমরা আগামীতে সবাইকে নিয়ে চেষ্টা করবো সকল শিক্ষার্থীই যেন এ প্লাস পাই। এটিই আমাদের বড় লক্ষ্য। আমরা সে লক্ষ্যেই এখানে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার চেষ্টা করি।#
মন্তব্য করুন: