প্রকাশিত:
২৫ নভেম্বার ২০২৩, ২১:৩২
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পণ্যের চাহিদা ও আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারায় পরবর্তীতে বেশি মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন পেশায় ও সেক্টরে সিন্ডিকেট থাকলেও জনগণের কোনো সিন্ডিকেট নেই। জনগণ জেগে উঠলে কোনো সিন্ডিকেটই কার্যকর থাকবে না। ব্যবসায়ীরা এতদিন ডিমে বেশি মুনাফা করেছে। দেশে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমের চাহিদা আছে। মাত্র ৬১ হাজার ডিম আমদানির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ডিমের মূল্য কমে এসেছে।
শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় টিপু মুনশি আরও বলেন, দেশে গরুর মাংস আমদানি করলে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় সরকার গরুর মাংস দেশের বাইরে থেকে আমদানির পক্ষে নয়। প্রতি কুরবানিতে এক থেকে সোয়া কোটি পশুর প্রয়োজন হয়। ভারত থেকে কুরবানির ঈদের সময় বিভিন্নভাবে গরু আসলেও এখন অভ্যন্তরীণভাবেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালে ইডেন মহিলা কলেজকে পরাজিত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়। এ সময় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে ট্রফি এবং সনদপত্রসহ ২ লাখ ও এক লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গ্র্যান্ড ফাইনালের বিষয় ছিল ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি খাতের ভূমিকাই মুখ্য’। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এসএম মোর্শেদ, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক মো. তৌহিদুল ইসলাম, দৌলত আক্তার মালা প্রমুখ। সূত্র: যুগান্তর
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: