প্রকাশিত:
২২ নভেম্বার ২০২৩, ২০:৩৫
রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফখরুলের জামিন শুনানি শুরু হয়। ৩টা ১৩ মিনিটে শুনানি শেষ হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. আসাদুজ্জামান, মো. মোহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, খোরশেদ মিয়া আলম, ওমর ফারুক ফারুকী, ইকবাল হোসেন, হযরত আলী, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু, শেখ হেমায়েত উদ্দিন, ঢাকা বারের সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরয়া জোবায়ের প্রমুখ আইনজীবী।
ফখরুলের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ শুনানিতে বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নাই। কথিত ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কাউকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়নি, যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তাদের ঢাকায় কোন ঠিকানা নাই। মির্জা ফখরুল অসুস্থ, ৮১ বছর বয়স্ক, ৪টা ব্লক আছে। তিনি ফখরুলের জামিন চান।
এছাড়াও অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল শুনানি করেন। তারা বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার মামলায় আসামি করা হয়েছে যাতে তিনি জুডিশিয়ারিতে সহানুভূতি না পান।
ফখরুলের জামিনের বিরোধিতা করেন মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, আসামি হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন হয় না, নির্দেশনা বা ওই কাজের জন্য প্ররোচিত করলেও তিনি মামলার আসামি হবেন।
শুনানি শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন এর শীর্ষ নেতা কর্মীরা হাতে লাঠিসোঠা, লোহার রড, ইট পাটকেল ও ককটেল সহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাংচুর করে। বাস ভবনের সামনে বে-আইনী সমাবেশ ঘটাইয়া রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয় ও মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তরা বৈশাখী পরিবহনে বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাংচুর করে অনুমান ২০ (বিশ) লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: