প্রকাশিত:
৯ নভেম্বার ২০২৩, ১১:৩৮
দেশে চলমান অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় আরো বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।
এমন পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সংকটে থাকা অর্থনীতি আরো সংকটে পড়ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থিক খাতগুলো ছাড়িয়ে শিক্ষাসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কালেরকণ্ঠ।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়ে।
বৈশ্বিক ওই সংকটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা থমকে যায়। ডলার সংকটে স্থবির হয়ে পড়ে শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি আমদানিসহ বৈদেশিক লেনদেন। এলএনজি ও গ্যাসের সংকটে অভ্যন্তরীণ শিল্প উৎপাদন কমতে থাকে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
সর্বশেষ গাজায় ইসরায়েলি হামলা বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আরো অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। এই নাভিশ্বাস ওঠা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে অবরোধ-হরতাল, ভাঙচুর-আগুন অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
করোনা মহামারির সময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রণোদনাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে সরকার সংকট কাটিয়ে অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে সক্ষম হয়। কিন্তু এখন রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন করে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন অর্থনীতিতে বড় আঘাত লাগলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক কর্মসূচি সংকটে থাকা অর্থনীতিকে আরো বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেই এবং সামষ্টিক অর্থনীতি কোনো সূচকই ইতিবাচক অবস্থায় নেই। তাই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ভালো অবস্থায় থাকবে বলে মনে হয় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, ২০১৩-২০১৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার আগে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাবে অর্থনীতি এমনিতে সংকটময় সময় পার করছে। টানা নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি একে আরো নাজুক অবস্থায় ফেলবে।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে সবার আগে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এতে কম আয়ের মানুষ গভীর সংকট থেকে রেহাই পাবে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ যতটা সম্ভব তৈরি করতে হবে। আবার এই সময়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ নিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
যুদ্ধের প্রভাবে সংকটে দেশের অর্থনীতি
২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। এমন অবস্থায় আমদানিমূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও কোনোটাই বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় মাসখানেক আগে শুরু হওয়া ইসরায়েলযুদ্ধ সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে বড় কাজ উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ডলার সরবরাহ বাড়ানো এবং রিজার্ভের পতন আটকানো। কিন্তু রপ্তানি আয়, প্রবাস আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদান কমছে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রা বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয়, ঋণ পরিশোধ ও বহির্গামী রেমিট্যান্স পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১১৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর্থিক হিসাবে ঘাটতির পরিমাণ ৩৯২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে উদ্বৃত্ত ছিল ৮৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সর্বশেষ অক্টোবরে রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ। প্রবাস আয় অক্টোবরে বাড়লেও এর আগের তিন মাসে কমেছে। শিল্পের কাঁচামাল এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে, যা বিনিয়োগে ধীরগতির লক্ষণ। সর্বশেষ শ্রম জরিপ অনুযায়ী কমেছে কর্মসংস্থানও।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, গত এক দশক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল। এতে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আস্থা ফিরে এসেছিল। বিভিন্ন দেশে রপ্তানিতে সরবরাহব্যবস্থা ভালো থাকায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম একটি উৎপাদন হাবে পরিণত হওয়ার পথে ছিল বাংলাদেশ। এখন দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনীতিকে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকলে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে আস্থা হারাবে দেশ।
রাজনৈতিক সহিংসতায় অর্থনীতিতে উদ্বেগ
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় সরবরাহ, উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানিসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হলে সংকট আরো বাড়বে। এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা জীবনযাত্রায় যেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তেমনি ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। শিল্পের কাঁচামাল সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না। রপ্তানি পণ্য সরবরাহ দুরূহ হয়ে পড়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় স্থানীয় বাজারে পণ্যের চাহিদাও অনেক কমে গেছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হচ্ছে।
এমসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় যে ক্ষতি তৈরি হয়েছিল এবার একই পরিস্থিতি হলে ক্ষতি তার চেয়ে অনেক বেশি হবে। ওই সময়ের চেয়ে এখন জিডিপির আকার অনেক বড়। স্বাভাবিকভাবে এবার প্রতিদিনই ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি আশা করছেন, সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ থাই চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির প্রভাবে দেশে মূল্যস্ফীতি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আবার পণ্য আমদানিতে এখন প্রতি ডলারে ১২৪ টাকা ব্যয় হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে পণ্যের দামে এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তার কাঁধে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়ছে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ। রাজনৈতিক অস্থিরতায় পরিবহন ব্যয় বাড়লে পণ্যের দাম আরো বাড়তে পারে।
হরতাল-অবরোধ দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতি বাড়বে
২০১৩-১৪ সালে সংসদ নির্বাচন ঘিরে হরতাল ও অবরোধে দেশের উৎপাদনব্যবস্থায় ২২০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছিল। ওই বছরের বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এই অর্থ মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১ শতাংশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বিশ্বব্যাংকের ওই সময়ের মূল্যায়ন রিপোর্টে এই অনুমান স্থান পেয়েছিল।
এবারও নির্বাচন ঘিরে এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও টানা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এবারও একই পরিস্থিতি চলতে থাকলে যদি বর্তমান জিডিপি অনুযায়ী ১ শতাংশও ক্ষতি হয় তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ হাজার ৬৭ কোটি টাকার মতো।
২০১৪ সালে টানা অবরোধ ও হরতালে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতির একটা হিসাব দাঁড় করিয়েছিল ডিসিসিআই। সংগঠনটির হিসাবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দৈনিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ২৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ওই হিসাবে সেই সময় ১৬ দিনে ব্যবসা-বাণিজ্যে ৩৬ হাজার ৪৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল। এই হিসাবে ধরলে গত ৯ দিনের হরতাল-অবরোধে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা।
ডিসিসিআইর হিসাবে, প্রতিদিন শিল্প উৎপাদন সক্ষমতায় ২৫ শতাংশ ক্ষতি ধরলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। এটা দেশের দৈনিক মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ৬১.৫৪ শতাংশ। সে হিসাবে ২০১৪ সালের ১৬ দিনে মোট জিডিপিতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২.৭০ শতাংশ।
বর্তমানে জিডিপির আকার অনেক বড়। ওই হিসাবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে এলডিসি থেকে উত্তরণও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। দেশ সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক আঘাতের মধ্যে দিয়ে যাবে। এতে উন্নয়ন-অগ্রগতির অনেক সূচকে ধাক্কা লাগবে। এ জন্য এখনই সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এফবিসিসিআই ২০১৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়ে ছিল। অবশ্য গবেষণা সংস্থা সিপিডি তখন এক হিসাবে বলেছিল, ওই সময়ের রাজনৈতিক সহিংসতায় আড়াই মাসে ৯টি খাতে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে। তবে সংস্থাটি সেবা খাতের হিসাব দেয়নি।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উৎপাদনে যে ক্ষতি হয়েছে তার ৬৮ শতাংশ হয়েছে সেবা খাতে। এ ছাড়া শিল্পে ২৫ শতাংশ এবং কৃষিতে ৭ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।
এবারও হরতাল-অবরোধে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা লেগেছে সেবা খাতে। রাজনৈতিক কর্মসূচির দিনগুলোতে সড়ক পরিবহন প্রায় বন্ধ রাখতে হয়েছে। নৌ ও রেলপথেও যাত্রী তুলনামূলক কম থাকায় আয় কমেছে। এখন পর্যটনের ভরা মৌসুম চলে আসছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় হোটেল ও পর্যটন সেবা খাতে আয় বন্ধের পথে। অন্যান্য সেবা খাতে আয় এরই মধ্যে কমে গেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে পরিবহন খাতে মোট ক্ষতি হয়েছে ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধে ঢাকায় ৬৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং ১৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টি বাস এবং চারটি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। প্রতিদিনের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের আয় ধরলে এই ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি।
বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দিন পরে আমন মৌসুমের ফসল ঘরে তোলা ও যৌক্তিক মূল্য পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। হরতাল-অবরোধে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। রপ্তানি পণ্য সরবরাহ ও অভ্যন্তরীণ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় কম্পানিগুলোর আয়ে প্রভাব পড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির টিকে থাকার ক্ষমতা এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে। তাই অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে স্থিতিশীল পরিবেশ আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: