প্রকাশিত:
৯ নভেম্বার ২০২৩, ১১:২৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের কৌশল ও প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায়। আজ সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠেয় এ সভায় ১০টি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা রয়েছে। খবর যুগান্তর।
বিশেষ এই সভায়-নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং বিভিন্ন উপকমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। যার মধ্য দিয়ে দলকে পুরোপুরি নির্বাচনমুখী করতে চায় ক্ষমতাসীনরা।
এছাড়া সাংগঠনিক অবস্থা, বিশেষ করে তৃণমূলের পরিস্থিতি তুলে ধরে সাংগঠনিক প্রতিবেদন দাাখিল করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সারা দেশের কোন সাংগঠনিক জেলায় কী সমস্যা তা উপস্থাপন করে সমাধানের নির্দেশনা চাইবেন তারা।
পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার বাইরে (বিবিধ) দলীয় প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন ফরম বিক্রির তারিখ নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হবে। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আরও জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিসহ বিরোধীদের অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো আজকের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনায় আসবে।
বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় নিজেদের করণীয় বিষয়েও নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ভেতর ও বাইরের বিভিন্ন মহলের তৎপরতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার বিষয়গুলো নিয়েও। নির্বাচনি প্রস্তুতির পাশাপাশি সামনের দিনের বিভিন্ন দিবসভিত্তিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।
আজকের সভার যে ১০টি সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি রয়েছে, সেগুলো হলো-শোক প্রস্তাব, ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদীর মৃত্যুবার্ষিকী, ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, ২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও সাবকমিটি গঠন, সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা, সাংগঠনিক প্রতিবেদন দাাখিল ও বিবিধ।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম যুগান্তরকে বলেন, এই কার্যনির্বাহী কমিটির সভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হবে। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে আলোচনা হবে।
দলীয় মনোনয়ন ও মনোনয়ন ফরম বিক্রির বিষয়সহ নির্বাচনের অন্য প্রক্রিয়াগুলো নিয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। নির্বাচনে বিজয়ে জনগণের ম্যান্ডেট আদায় ও এর কৌশল নিয়েও আলোচনা হবে। নির্বাচন সামনে রেখে আমরা কী কী বিষয় নিয়ে মানুষের কাছে যাব, সেই কৌশলও নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। সামনে আমাদের বিভিন্ন দিবস আছে, সেই দিবসভিত্তিক কর্মসূচিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত যে ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, সে বিষয়গুলো নিয়েও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনা হবে বলেও জানান দলটির এই নেতা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচনের আগে আমাদের দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচি নিয়েও আলোচনা হবে। মূলত জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।
আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নেত্রী (শেখ হাসিনা) বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন।
একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর যুগান্তরকে বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। জনগণও সেই উন্নয়নের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে। আমরা আশা করি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: