প্রকাশিত:
২৯ অক্টোবার ২০২৩, ২০:২৫
বাংলাদেশে একটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য এদেশের নির্বাচন কমিশনের সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ওপর কেন বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না তার কোনো কারণ আমি দেখি না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এস ওয়াই কোরাইশি।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইলেকশন ফোরামের আমন্ত্রণে চার দেশের পাঁচ নির্বাচন কমিশনারের সাথে ইসির বৈঠক শেষে তিনি এই কথা বলেন।
ভারতের সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইসির ক্ষমতা আছে। তারপরও বিগত নির্বাচনগুলোর মধ্যে কয়েকটি নির্বাচন একপক্ষীয় ছিল। যার কারণে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’
এ ক্ষেত্রে ইসির কোনো দুর্বলতা রয়েছে কি না, গণমাধ্যমের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানি না। এটা তোমাদের (বাংলাদেশের) ইসি ব্যাখ্যা দিতে পারবে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ভারতের নির্বাচন কমিশনের যে সমস্ত ক্ষমতা আছে, সেই সমস্ত ক্ষমতা তোমাদের নির্বাচন কমিশনেরও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন দৃশ্যত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতো দায়িত্ব পালন করে। ভারতে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর কমিশন সর্বময় ক্ষমতা পায়। কোনো প্রধানমন্ত্রী থাকে না, মূখ্যমন্ত্রী থাকে না। ইসির অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
কোরাইশি বলেন, ‘ভারতের ইসি ক্ষমতাসীন সরকারকে অকার্যকর করে ফেলে। তারা (ভারতের সরকার) নতুন কোনো উন্নয়ন কর্মসূচি নিতে পারে না। কাউকে বদলি করতে পারে না। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে।’
ইএমএফ-এর পরিচালক আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘তারা যেটি জানিয়েছে, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার আগামী নির্বাচনটি যেন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে বৃহৎ যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, এখনও যেহেতু নির্বাচন পদ্ধতি তাদের মূল অ্যাজেন্ডা যে, নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, কার অধীনে হবে। কাজেই সেই হিসেবে তাদেরকে দুইবার সংলাপের চেষ্টা করেও তারা সংলাপে বসতে পারেননি এবং সেই কারণে নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটু হতাশা আছে আমরা যেটি বুঝলাম।’
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম, আমরা মনে করি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এখানে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব সরকারেরই প্রথম, কাজেই সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে এবং সেই সংলাপের মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ইনক্লুড করে কীভাবে একটি সুন্দর অংশগ্রহণমূলক সেই জন্য সেই জন্য কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে।
ব্যালট পেপার কখন কেন্দ্রে যাবে এটি আমরা জানতে চেয়েছি। তারা (ইসি) তখন বলেছে, একেবারেই রিমোর্ট এরিয়া যদি না হয়, তাহলে নির্বাচনের দিন সকালেই ব্যালটগুলো ভোটকেন্দ্রে পাঠাতে চান।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ) নামের পর্যবেক্ষক সংস্থার ব্যানারে তারা ইসিতে আসেন। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মুয়াদ তৌফিক, শ্রীলংকার আরএমএএল রথনায়েক, নেপালের নির্বাচন কমিশনার সাগুন শামসের জে বি রানা ও নেপালের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শর্মাসহ ইএমএফ-এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: