প্রকাশিত:
১২ আগষ্ট ২০২৩, ২৩:৪৬
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে কোনো স্যালাইন সংকট নেই। হঠাৎ করেই স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে আমরা বাফার স্টক রাখতে চাই সরকারিভাবে। আমরা নিজেরাও রাখব আর প্রাইভেটকেও দিয়ে দেব, যারা আমদানি করতে চায় তারা এখনই তা করতে পারবে।
শনিবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। খবর সমকাল
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখনও ডেঙ্গু বাড়তি রয়েছে, এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৮০ হাজার ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। গত বছর কম ছিল, এর আগে একটু বেশি ছিল। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭৩ জন। এটা আমি মনে করি অনেক বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দায়িত্ব, যেখানে খোলা জায়গা বা ড্রেনে পানি জমে আছে সেখানে রেগুলার স্প্রে করা। যখন ডেঙ্গু দেখা দেয় তখন স্প্রে করলে চলবে না। সারা বছরই এই কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। তবেই মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে।
হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. বাহাউদ্দিন, পৌর মেয়র রমজান আলী প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সারা দেশে পাঁচ হাজার বেড রেডি রাখতে বলেছি। এখনও অনেক বেড খালি রয়েছে। স্যালাইনের এখন বিশেষ প্রয়োজন, সারা দেশে যারা স্যালাইন তৈরি করে তাদের বলেছি শতভাগ উৎপাদনে যাওয়ার জন্য। তারপরও রোগী দশগুণ বেড়েছে, হঠাৎ করে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব নয়।
প্রতিদিন আমাদের ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন লাগে, সেই ক্ষেত্রে মাসে ১২ লাখ ব্যাগ স্যালাইন লাগে। সব কোম্পানি মিলেও এতো উৎপাদন করতে পারে না। এর জন্য দুই দিন আগে আমরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মিটিং করেছি এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে বিদেশ থেকেও প্রয়োজনে স্যালাইন ব্যাগ আমদানি করতে পারে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: