[email protected] শুক্রবার, ১লা নভেম্বর ২০২৪, ১৭ই কার্তিক ১৪৩১

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন, ঠকবেন না

অর্থনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত:
৪ অক্টোবার ২০২৩, ১৯:৪১

ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, এখানে বিনিয়োগের দারুণ পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশ ভালো জায়গা আপনারা বিনিয়োগ করুন। বিনিয়োগ করলে কেউ ঠকবেন না।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীতে একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে পরিচালিত ইইউর কোম্পানিগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ বিষয়ক’ সেমিনারে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স (ডিসিসিআই) ও ইইউ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্যা কিছু রয়েছে এর সমাধানও আমরা করবো। বিনিয়োগকারী, দেশীয় ব্যবসায়ী এবং সরকার মিলে আমরা আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমরা ৫০ বছরের সম্পর্কপূর্তি উদযাপন করেছি। আমস্টারডামে সম্প্রতি এরকম একটি চমৎকার সেমিনার করেছি। আমাদের দেশে কিছু সমস্যা হয়তো আছে, সেগুলোর সমাধান করে সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এখানে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি, আপনারা বিনিয়োগ করুন। আমরা এটা বলতে পারি আপনারা বিনিয়োগ করে ঠকবেন না।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিঞা বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে। ১০৯টি হাই-টেক পার্ক আছে। আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের বন্ধুদের বলবো, আপনারা চাইলে দেশীয় ভালো কোম্পানির সঙ্গে সমন্বয় করে দিতে পারবো। বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগ হোক এটা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের যেসব সংকট ছিল আগামী ডিসেম্বরে সেগুলো কেটে যাবে। বিডা নানা উদ্যোগ নিয়েছে, আগামীতে বিডার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বমানের সেবা পাবেন।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যেসব সুবিধা আমরা পাচ্ছি, এলডিসি পরবর্তীতেও বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাই। একই সঙ্গে আমাদের বন্ধুরা জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখবেন বলে আশাবাদী। এর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

সেমিনারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপের সরাসরি বিনিয়োগে অনেক গ্যাপ রয়েছে, যা হতাশার। বাংলাদেশের মতো সমসাময়িক দেশ, যেমন ভিয়েতনামের সঙ্গে ইউরোপের বড় বাণিজ্য রয়েছে। সে তুলনায় বাংলাদেশর সঙ্গে অনেক কম। গত ১৫ বছরে ভিয়েতনামে ইইউ’র সরাসরি বিনিয়োগ আছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। আর একই সময়ে বাংলাদেশে ইইউ’র বিনিয়োগ মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। আর সেন্ট্রাল ইউরোপ থেকে তা মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ সব পণ্যের সঙ্গে হলেও অস্ত্র বাণিজ্য ছাড়া এ সুবিধা নিতে পারবে। তবে এজন্য আন্তর্জাতিক শ্রম আইন বাস্তবায়ন জরুরি। আন্তর্জাতিক শ্রম আইন বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশে ইইউ’র বিনিয়োগ বেড়ে যাবে। ইইউ সংশোধিত শ্রম আইনের ওপর নজর রাখছি। একই সঙ্গে আমি বলতে পারি আজকের ফলপ্রসূ আলোচনা পরবর্তীতে আমরা ইউরোপের বাণিজ্য সেমিনারে উত্থাপন করবো।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর