প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০৩:৩৬
সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ‘লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে।’
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। খবর কালবেলা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
জামালপুর-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রুগ্ণ শিল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০৯ সালে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠিত হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১০ ও ২০১২ সালে ২৭৯টি রুগ্ণ গার্মেন্টস এবং ২০১১ ও ২০১৫ সালে একশটি রুগ্ণ টেক্সটাইল শিল্পের ঋণ বিলুপ্তের সার্কুলার জারি করে।
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ব্যাংকসমূহের মাধ্যমে ঋণ আকারে বিতরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমান প্রচলিত কলরেট ২০১৮ সালে মার্কেট পর্যালোচনা, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপাতত কলরেট পুনঃনির্ধারণের কোনো পরিকল্পনা নেই।
বর্তমানে সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটসমূহকে একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজ/অফার/বান্ডেলে অন-নেট এবং অফ-নেটের ভয়েস কলের ক্ষেত্রে ট্যারিফের মধ্যে প্যাকেজ ডিজাইন করতে হয়।
সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা হলেও অপারেটরসমূহ নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১ টাকা মিনিটের কম রেটে বিভিন্ন প্যাকেজ ডিজাইন করে থাকে। নওগাঁ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান দেশে ৪টি মোবাইল কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিগুলো সরকারকে তিন হাজার ১৭৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেছে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: