[email protected] শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

ইসলামি সুকুক এখন সবার জন্য উন্মুক্ত

অর্থনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত:
৮ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০৪:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

শরিয়াহ্ ভিত্তিক ধারের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত ‘সুকুক’ সুবিধা সবার উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে নতুন নিয়মে শরিয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিমা কোম্পানি, প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামি শাখা, উইন্ডোজ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা সুকুকের মাধ্যমে ধার নিতে পারবে। গত রোববার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানির জন্য মোট বরাদ্দের শতকরা ৮৫ ভাগ সুকুক সুবিধা থাকবে। আর প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামি শাখা ও উইন্ডোজের জন্য সুকুক বরাদ্দ থাকবে শতকরা ১০ ভাগ। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স প্রভৃতি খাতের জন্য সুকুক বরাদ্দ থাকবে মাত্র ৫ শতাংশ।

তারল্য সুবিধার ক্ষেত্রে অনুপাত মেনে সুকুক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে যদি উভয় খাতের প্রতিষ্ঠান থেকে নিলামে অংশগ্রহণকারী পাওয়া না যায় তবে খাত বাদ দিয়ে সমান অনুপাতে বণ্টন করা হবে।

জানা গেছে, নতুন নির্দেশনার আগে কেবল ইসলামি ব্যাংকগুলো তারল্য সংকট কাটাতে বিশেষ সুবিধা উপভোগ করত। এসব ব্যাংকের সুকুক বন্ডের বিপরীতে নিজস্ব তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সুবিধা দেয়। যদিও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থাকে অধিকতর শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তারল্য সুবিধা দেওয়া হবে। তবে ১৪ দিন মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে সেই অর্থ সমন্বয় বা কেটে রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। শরিয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে নিয়মিতভাবে এই সুবিধা গ্রহণের জন্য একটি ফর্মে আবেদন করতে পারে।

সুকুক হলো বাংলাদেশে একটি বিকল্প বিনিয়োগের মাধ্যম। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শরিয়ত সম্মতভাবে আয় করতে পারেন। প্রচলিত বন্ড থেকে সুকুকের মূল পার্থক্য হচ্ছে, সুদভিত্তিক বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা লভ্যাংশের মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থের বিপরীতে আয়ের সুযোগ তৈরি করা।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর