[email protected] শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তায় বাবার কবরের পাশে সমাহিত প্রিগোজিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩০ আগষ্ট ২০২৩, ১৮:০৬

সংগৃহীত ছবি

গত সপ্তাহে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান অভ্যুত্থান-নেতৃত্বদানকারী ভাড়াটে ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তায় প্রিগোজিনকে জানানো হলো শেষ বিদায়।

মঙ্গলবার নিজ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে বাবার কবরের পাশে সমাহিত হন ওয়াগনারপ্রধান। খবর এপির।

ভাড়াটে সেনাদলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নিজ শহরেই বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে প্রিগোজিনকে। কবরে ওড়ানো হয় রাশিয়া ও ওয়াগনারের পতাকা।

এর আগে, স্থানীয় গির্জায় চরম গোপনীয়তায় হয় অন্ত্যিষ্টিক্রিয়া। প্রার্থণায় অংশ নেন নিকটাত্মীয়রা।

অবশ্য শেষ বিদায় জানাতে পোরোখোভস্কি গোরস্থানে যান দলীয় সদস্যরা। সেখানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান। নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা ছিল পুরো এলাকা।

এদিকে প্রিগোজিনের মৃত্যুতে নতুন সশস্ত্র বিদ্রোহের মুখোমুখি হতে পারেন বলে ভয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।

ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য মস্কো টাইমস জানায়, রাশিয়ায় প্রিগোজিনের তরলকরণের (কাউকে নৃশংসভাবে হত্যা) পর একটি নতুন সামরিক বিদ্রোহের হুমকি রয়েছে বলে পুতিন বিশ্বাস করেন।

দেশটিতে এখন উদ্বেগের বিষয় প্রিগোজিনের মৃত্যুর জন্য পুতিনকে সরাসরি দায়ী এবং প্রতিশোধ নিতে চায় ওয়াগনার কট্টরপন্থিরা।

এ পরিস্থিতিতে ‘নতুন সামরিক বিদ্রোহের হুমকির জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য সিক্রেট সার্ভিসকে’ নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।

বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গত সপ্তাহে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রিগোজিন এবং তার সহযোগীদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় একটি বড় জমায়েতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয় ক্রেমলিন। আর এ কারণে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ওয়াগনার গোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গের সেরাফিমোভস্কি কবরস্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

মস্কো টাইমস বলেছে, পুতিন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট। মস্কো থেকে ১২৫ মাইলেরও কম দূরে থাকা ওয়াগনারের ট্যাংকগুলো পুতিনের মনকে বিচলিত করে দিয়েছিল।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক ওলেগ ইগনাটভ বলেন, ওয়াগনারের অনেক সদস্য বিশ্বাস করেন প্রিগোজিনের মৃত্যুর পেছনে রুশ কর্তৃপক্ষের হাত থাকতে পারে। কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঝুঁকি উপেক্ষা করতে পারে না। সূত্র: যুগান্তর

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর