প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২৪, ২০:৩৬
ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। আর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর এক উচ্চপদস্থ নেতাকে হত্যার দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এই দুই নেতা নিহতের ঘটনার পর ইসরায়েলে বড় হামলার শঙ্কা রয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, এমন আশঙ্কার মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে, হানিয়াকে হত্যার কঠিন প্রতিশোধ নেয়া হবে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জবাব হবে কঠোর ও বেদনাদায়ক। ইরান এবং প্রতিরোধ বাহিনী এই অপরাধের জবাব দেবে।“
এই হত্যার জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাসও। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলছে, হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, দখলদার ইসরায়েল কর্তৃক আমাদের ভাই হানিয়ার এই হত্যাকাণ্ড (বিদ্যমান উত্তেজনায়) বাড়িয়ে দেবে। তাদের উদ্দেশ্য হামাস ও আমাদের জনগণের ইচ্ছাশক্তি ভেঙে দেয়া। আমরা নিশ্চিত করে বলতে চাই যে, এসব করেও তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। দশ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ইতি টানতে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। এই চেষ্টা অনেকটাই এগিয়ে গেলেও হানিয়াকে হত্যার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে সংকট তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: