প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫৩
ফের মধ্যপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন শুরুর হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র যদি জার্মানি বা ইউরোপের অন্য কোথাও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, তবে মস্কো এই পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের পথে হাঁটবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ জুলাই) রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজে পুতিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে মধ্য ও স্বল্পপাল্লার অস্ত্র মোতায়েন স্থগিত করা নিয়ে আমরা এর আগে গৃহীত চুক্তি থেকে সরে আসার কথা ভাববো।’
মূলত পুতিন যে অস্ত্রের কথা বলেছেন, সেগুলো ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এসব অস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েন নিয়ন্ত্রণ করতে ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি’ নামে একটি চুক্তি করে। তবে ২০১৯ সালে পরস্পরের বিরুদ্ধে ওই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে আনে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। পরে ওই চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় দেশ দুইটি। যদিও রাশিয়া পরে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করলে, তারাও একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করবে না।
এদিকে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ওয়াশিংটন ও বার্লিন ঘোষণা দেয়, ২০২৬ সাল থেকে জার্মানিতে পর্যায়ক্রমে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। ওই যৌথ ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক ক্রুজসহ বিভিন্ন ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা বলা হয়।
ওই ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও সামরিক স্থাপনা ওই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় পড়বে। তাই আমাদের এ ধরনের স্থাপনাগুলো ভবিষ্যতে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত করা হবে। এ পরিস্থিতি আমাদের স্নায়ুযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময় ইউরোপে মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।’
সূত্র: আরব নিউজ
মন্তব্য করুন: