প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২৪, ১৪:০৩
টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। দেশটির এ হামলার কাছে নাস্তানাবুদ ইউক্রেন। পশ্চিমাদেশগুলোর সহায়তা নিয়েও নাকানি-চুবানি খাচ্ছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার (১৪ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য দুটি শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ শর্তের একটি হলো নিজেদের দখলে নেওয়া চারটি এলাকায় থেকে ইউক্রেনকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া দেশটিকে ন্যাটো জোটের সদস্য পদের জন্য তদবির থেকে বিরত থাকার ঘোষণার কথাও বলা হয়েছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরবসহ অন্যান্য কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন বলেন, যে মুহূর্তে কিয়েভ সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানে আর চেষ্টা না করার ঘোষণা দেবে, তখন থেকে আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি ও যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নিতে শুরু করব।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এবার হঠাৎ যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, যুদ্ধ থামাতে রাজি হয়েছেন পুতিন। তবে পুতিন বলেছেন, কিয়েভ বা পশ্চিমারা যদি তার প্রস্তাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানায় তাহলে অবশ্য তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।
বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুতিনের সঙ্গে কাজ করেছেন বা করছেন, এমন অন্তত পাঁচটি সূত্র এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তারা ‘অনন্ত যুদ্ধ’ চান না। তাই যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা চালাতে তাদের আপত্তি নেই।
বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চাপের মুখে রয়েছে। তাই অর্থনীতিকে খাপ খাওয়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তাছাড়া ক্ষমতা ধরে রাখলেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার জনপ্রিয়তা কমেছে। তাই যুদ্ধ না চালিয়ে বরং আলোচনায় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। ঠিকমতো এগোলে হয়তো যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটা সম্ভব হবে। তবে যুদ্ধবিরতি বা সেই সংক্রান্ত আলোচনা এখনও কুয়াশাচ্ছন্নই রয়েছে।
ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কথাবার্তার সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মনে করেন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে যা অর্জন হয়েছে, তা রাশিয়া জনগণের কাছে জয় বলে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব।
মন্তব্য করুন: