প্রকাশিত:
১১ জুন ২০২৪, ২২:১৮
গাজাযুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের সমর্থিত একটি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মঙ্গলবার হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে হামাস। অন্যদিকে তাদের এই অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। খবর আলজাজিরা।
তেল আবিবে ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা নিয়ে কী পরিকল্পনা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা চলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করার সদিচ্ছার কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হামাস কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেন, ইসরায়েল যেন চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলে তা নিশ্চিতের দায়িত্ব ওয়াশিংটনের। হামাস জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের খসড়া চুক্তি অনুযায়ী গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কাছে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়গুলো মেনে নিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের সামনে এখন অগ্নিপরীক্ষা। তাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী ইসরায়েলকে অবিলম্বে যুদ্ধের অবসান করানো এবং নিরাপত্তা কাউন্সিলের চুক্তির অন্যান্য শর্তগুলো বাস্তবায়নে বাধ্য করা এখন তাদের দায়িত্ব।
নিরাপত্তা কাউন্সিলে জাতিসংঘের উত্থাপন করা খসড়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন পেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেন, হামাসের এখন প্রমাণ করার সময় যে তারা আসলেই যুদ্ধবিরতি চায়।
৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এ প্রস্তাব দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সোমবার প্রস্তাবটির ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। ইসরায়েল ও হামাসকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড।
মন্তব্য করুন: