প্রকাশিত:
২২ মে ২০২৪, ১১:৪৯
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় এক গর্ভবতী নারীসহ ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (২২ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানায়।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মধ্য গাজায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এক গর্ভবতী নারীসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরে ইসরায়েলের চলমান হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তত আরও আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
একজন চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, শহরের দারাজ এলাকায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে, যার বয়স এখনও এক বছর পূর্ণ হয়নি। অন্যদিকে শহরের তুফাহ পাড়ায় আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই নারী ও এক নাবালক শিশুসহ আরও চারজন নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত এবং আরও ২০০ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। কারণ, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। এ ছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৫ হাজার ৬৪৭ জনে পৌঁছেছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭৯ হাজার ৮৫২ জন।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে বলে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মন্তব্য করুন: