[email protected] রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জীবনের শেষ বক্তব্যে যা বলেছিলেন রাইসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
২১ মে ২০২৪, ১২:১০

ছবি : সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির সিনিয়র কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে মুসলিম বিশ্বে মাতম চলছে। এরমধ্যেই রাইসির একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে, যা তিনি মৃত্যুর আগে দিয়েছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থার প্রতিবেদনের তথ্যমতে, একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছিলেন রাইসি। সেখানে উদ্বোধন অনুষ্ঠান জীবনের শেষ বক্তব্য দিয়েছিলেন।

সেখানে রাইসি বলেছেন, এই মুহূর্তে ইসলামী বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ফিলিস্তিন। কোনো সন্দেহ নেই যে, আজারবাইজান ও ইরানের জনগণ ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে রয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দুই দেশের অবস্থান দৃঢ়। তবে এ বিষয়ে ইসলামী দেশগুলোর ঘুম ভাঙতে হবে। তাদের উচিত নির্যাতিত ভাইদের জন্য এগিয়ে আসা। দুটি মুসলিম দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ইরান সবসময়ই গুরুত্ব দেয়। আমরা কেবল ইরান ও আজারবাইজানের মধ্যেই সহযোগিতা অব্যাহত রাখব না। বরং আঞ্চলিক এবং আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতাও অব্যাহত রাখব।

এর আগে, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। দীর্ঘসময় অভিযান চালিয়ে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় উদ্ধারকারীরা। এরপর হেলিকপ্টারে থাকা কোনো আরোহী জীবিত নেই বলে নিশ্চিত করা হয়।

হেলিকপ্টারটিতে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন।

ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মোখবের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আলী বাঘেরি কানি।

উল্লেখ্য, ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর