প্রকাশিত:
১৭ মে ২০২৪, ২০:৫৯
তিনি জানান, গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে পরাজিত করার পর ইসরায়েল থেমে থাকবে না বরং তারা তুরস্ক দখলের পথে এগিয়ে আসবে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এরদোয়ান জানান, ইসরায়েল শুধু গাজায় বিজয়ী হয়ে থেমে যাবে এমনটা মনে করা যাবে না। যদি এখনই ইসরায়েলকে থামানো না যায়, তবে তারা আজ অথবা কাল আনাতোলিয়ার দিকে অগ্রসর হবে।
তিনি জানান, তুরস্ক সব সময় হামাসের পাশে থাকবে। গাজার স্বাধীনতাকামী এ সংগঠনটি তাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে এবং একই সাথে আনাতোলিয়াকেও রক্ষা করছে। আনাতোলিয়া বলতে মূলত বৃহত্তর তুর্কি উপত্যকাকে বোঝাতে চেয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। আনাতোলিয়া পশ্চিম এশিয়ার একটি উপদ্বীপ। তুরস্কের বেশিরভাগ অংশ এই উপদ্বীপেই গঠিত। আনাতোলিয়াকে ইংরেজিতে এশিয়া মাইনর নামেও ডাকা হয়।
এর আগে সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, চলমান যুদ্ধে আহত হামাসের এক হাজারেরও বেশি সদস্যকে তুরস্কের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি তিনি ইস্তাম্বুলে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সমর্থনে তেলআবিবের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করেছে আঙ্কারা। শুধু তাই নয়, তুরস্ক আর ইসরায়েলের সঙ্গে নিবিড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখছে না বলেও জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এমনকি এ ধরনের সম্ভাবনার বিষয়টিও বন্ধ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন এরদোয়ান।
গেল মাসে হামাস যোদ্ধাদের তুর্কি স্বাধীনতা যোদ্ধাদের সঙ্গে তুলনা করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এতে তুর্কি প্রেসিডেন্টের বেশ প্রশংসাও করে যোদ্ধা সংগঠনটি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ইসরায়েলে দখলদারত্বের বিপক্ষে এরদোয়ানের সাহসী বক্তব্য এবং ভ্রাতৃপ্রতিম অবস্থান ফিলিস্তিনের মানুষ মনে রাখবে। ফিলিস্তিনি জনগণ তার কথা কখনো ভুলবে না।
দীর্ঘ দখলদারত্ব আর পশ্চিম তীরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায় হামাস যোদ্ধারা। এরপরই গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।
মন্তব্য করুন: