প্রকাশিত:
১৪ মে ২০২৪, ১৮:১১
পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে আটা ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। এ সময় সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়। খবর বিবিসি
ওই অঞ্চলে আটা ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এরপর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ২৪ বিলিয়ন রুপি ভর্তুকি ঘোষণা দেয়ার একদিন পরই গত মঙ্গলবার আয়োজকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শওকত নওয়াজ মীর বলেন, সরকার আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, বিক্ষোভে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য সরকারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।
গত সপ্তাহ থেকে বিক্ষোভ শুরু হলে কর্তৃপক্ষ মোবাইল সেবাও বন্ধ করে দেয়। বাতিল করে গণপরিবহন চলাচল। বন্ধ করে দেয় স্কুলও।
বিক্ষোভ দমাতে সোমবার ওই অঞ্চলের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ হলে এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে আধা সামরিক বাহিনীর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতে একজন পুলিশ অফিসারসহ চারজন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের ডাক্তারের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে চারজনের মধ্যে দুজন গুলিতে মারা গেছেন।
৩৭ বছর বয়সী দোকানদার মুহাম্মাদ কাসেম বলেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর কোনো দরকার ছিল না। আমরা অধিকারের জন্য নেমে গুলি ফেরত পেলাম।
এদিকে মঙ্গলবারের ওই ঘটনাকে কালো দিন বলে ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল যার নিজস্ব আঞ্চলিক সরকার রয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরেই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। হিমালয়ের এই অঞ্চলটি এককভাবে নিজেদের বলে দাবি করছে ভারত ও পাকিস্তান। কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দুই দফা যুদ্ধও হয়েছে। তবে দুই দেশই এটির কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
মন্তব্য করুন: