প্রকাশিত:
৯ মে ২০২৪, ২২:৩৬
ইসরাইলের চলমান হুমকি যদি চলতে থাকে তাহলে পারমাণবিক নীতি পরিবর্তনের হুঁশিয়ারি করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা বহির্বিশ্বের।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্কের বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কামাল খারাজি বলেন, ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো পরিকল্পনা নেই, তবে ইরানের অস্তিত্ব যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে আর কোনো বিকল্প থাকবে না। প্রয়োজনে আমাদের সমরাস্ত্র নীতি পরিবর্তন করা হতে পারে।
আয়াতুল্লাহ খামেনির উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের আক্রমণের শিকার হলে, আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিবর্তিত হবে।
কামাল খারাজির এই মন্তব্যর পর ইরান দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি বলে যা দাবি করে আসছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
১৯৭৯ সালে সংগঠিত ইসলামি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত রাষ্ট্রীয় পদ্ধতিকে অটুট রাখতে ইরানে তৈরি হয় রেভুল্যুশনারি গার্ড। যার নেতৃত্ব থাকেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। খামেনি পরবর্তীতে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশে ইরানে পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ নিষিদ্ধ করেছিলেন। এটিকে ‘হারাম’ বা ইসলামে নিষিদ্ধ বলে সে সময় মন্তব্য করেন তিনি
কিন্তু ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দা মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে চাপ প্রয়োগ করছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) তথ্য মতে, ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। এই ইউরেনিয়ামের প্রায় ৯০ শতাংশ অস্ত্র তৈরির জন্য সমৃদ্ধ হয়েছে। পারমাণবিক উপাদান আরও সমৃদ্ধ হলে তা ভয়াবহতা আরও বাড়াবে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরাইল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা চালায় ইসরাইল। এর পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে ইসরাইল-ইরানের মধ্যে।
মন্তব্য করুন: