প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৮
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তবে প্রায় সাত মাস পরও হামাসকে পরাজিত করতে পারেনি ইসরায়েল। এ সময় গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হতাহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে অনেক। এই পরিস্থিতিতে ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার’ জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেছেন দেশটির বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেছেন। এই দাবিটি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সামনে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, ইসরায়েলি সরকার আগামী ২০ মে পর্যন্ত হারেদিম নামে পরিচিত কট্টর-অর্থোডক্স ইহুদিদের নিয়োগ সংক্রান্ত পিটিশনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের রায় স্থগিত করতে চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে লাপিদ বলেন, ‘আর কতদিন অজুহাত দেখিয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে কলঙ্কিত করতে থাকবে এই বিশৃঙ্খল সরকার? আইডিএফের (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) কাছে যথেষ্ট সৈন্য নেই, এবং প্রত্যেককে তালিকাভুক্ত করতে হবে। ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে, নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত এবং এই সরকারকে আমাদের জীবন থেকে বের করে দেয়া উচিত।’
আনাদোলু বলছে, হারেদিমকে সামরিক বাহিনীর চাকরি করা থেকে ছাড় দিয়ে যদি নতুন নিয়োগ আইন পাস না করা হয় তাহলে ক্ষমতাসীন জোটের ধর্মীয় দলগুলো সরকার থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। মূলত ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ হারেদিম এবং তারা সামরিক বাহিনীতে কাজ করে না। এর পরিবর্তে তারা তাদের জীবন তাওরাত অধ্যয়নের জন্য উৎসর্গ করে থাকে।
অন্যদিকে আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব ইসরায়েলিকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে। তবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়া থেকে হারেদিমের অব্যাহতি কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বিতর্কটি আরও তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলি সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে যারা ধর্মনিরপেক্ষ, তারা হারেদিমকে যুদ্ধের বোঝা ভাগ করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন: