[email protected] সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মৃত্যুর পরও দিতে হবে কর,উত্তাল রাজনীতি পাড়া

মর্নিং টাইমস

প্রকাশিত:
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩০

ছবি সংগৃহীত

মৃত্যুর পরও দিতে হবে কর, নিয়ে যাওয়া হবে স্থাবর সম্পত্তি। সম্প্রতি এমন করনীতি আলোচনায় এসেছে ভারতের রাজনীতিতে। আর এতেই এখন কথার লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি ও কংগ্রেস।

ভারতের একজন বর্ষীয়ান নেতার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আবারও সরগরম দেশটির রাজনীতি পাড়া। নির্বাচনী উত্তেজনার মধ্যে কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদার করা একটি মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা। একসময় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আস্থাভাজন ব্যক্তি ছিলেন তিনি। মৃত্যুর পর কোনো ব্যক্তির সম্পত্তির অর্ধেক সরকারকে দান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্যাম পিত্রোদা।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্যাম পিত্রোদা বলেন, আমেরিকান আইন অনুযায়ী যদি কারও কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ থাকে তবে তিনি মারা যাওয়ার পর তার সম্পদের ৪৫ শতাংশ সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন। বাকি ৫৫ শতাংশ সরকারের দখলে যায়। এটি একটি আকর্ষণীয় আইন। মৃত্যুর পর আপনাকে অবশ্যই আপনার সম্পদ জনগণের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। তবে পুরোটা নয়, অর্ধেক। এটাই আমার কাছে ন্যায্য বলে মনে হয়।’

পিত্রোদার এই মন্তব্য ঘিরেই তোলপাড় ভারতের জাতীয় রাজনীতি। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত ক্ষেপে উঠেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্তব্যটির প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেছেন, কংগ্রেস মানুষের জীবন থাকতেও লুট করে, এমনকি মৃত্যুর পরও এখন লুট করতে চায়। রাহুল গান্ধী ও তার দল কংগ্রেসকে ইঙ্গিত করে মোদি বলেন, কংগ্রেস বলেছে তারা উত্তরাধিকার কর চাপাবে। আপনার কষ্টে অর্জন করা সম্পদ আপনার সন্তানেরা পাবে না। কংগ্রেস তা ছিনিয়ে নেবে। কংগ্রেসের একটাই মন্ত্র। বেঁচে থাকলেও লুট করব, মরে গেলেও লুট করব।’

এমন মন্তব্যে চটেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। পিত্রোদার মন্তব্যকে নিশানা করে তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের উচিত ইশতেহারে যে অর্থনৈতিক সার্ভে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা উইথড্র করা।'

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। গত সোমবার রাজস্থান রাজ্যের একটি নির্বাচনী সমাবেশে মোদি ভারতের মুসলিমদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন—এমন অভিযোগ জমা পড়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও। তবে এ ঘটনার এক দিন যেতে না যেতেই আবারও চরমে দুই পক্ষের রেষারেষি।

সাতটি ধাপে ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্পাদিত ৫টি সংস্থার ৮টি জরিপ পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে যে, মোদির নেতৃত্বের এনডিএ জোট বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছে এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মোট প্রাপ্ত ভোট ও আসন দুই দিক দিয়েই পিছিয়ে রয়েছে। ছয়টি বিরতিতে ৭টি ধাপের সব নির্বাচন শেষে ফলাফল পাওয়া যাবে আগামী ৪ জুন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর