প্রকাশিত:
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭
ইসরায়েলের একর শহরের উত্তরে দেশটির বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের এত ভেতরে এটিই হিজবুল্লাহর প্রথম হামলা।
হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।
দক্ষিণ ইসরায়েল থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি জইন খদর বলেছেন, উত্তর ইসরায়েলের গভীরে এই বর্ধিত হামলার সাথে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলিদের কাছে একটি বার্তা প্রেরণের চেষ্টা করছে। তাহলো-তাদের কমান্ডারদের ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হত্যা করলে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি হবে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমরা যা দেখেছি তা হলো- ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা অবকাঠামো ধ্বংস করতে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।
জইন খদর আরও বলেন, এটি অনেকটা চলমান সংঘর্ষ। গতরাতে লেবাননের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে যার মধ্যে এক নারী ও এক শিশু ছিল। এই সংঘাত মূলত সীমান্ত এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও প্রায় ৭০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। সুতরাং, এখন পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে তবে বৃহত্তর যুদ্ধের সম্ভাবনাও বাস্তব।
এদিকে সম্প্রতি ইসরায়েলের পাঁচটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ স্থানীয় হানি আল-দালি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের মাত্রা বাড়িয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য এর রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দিল হিজবুল্লাহ।
হানি আল-দালি বলেন, সামরিক এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মুখে হিজবুল্লাহ নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে মনে করেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্যমান এ পরিস্থিতির মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে যে ড্রোনসহ আকাশযান শনাক্তের উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে হিজবুল্লাহর হাতে। আর এতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা প্রতিপক্ষের আকাশযান সহজে শনাক্ত করতে পারছে। সূত্র : আল জাজিরা
মন্তব্য করুন: