[email protected] রবিবার, ১০ই নভেম্বর ২০২৪, ২৬শে কার্তিক ১৪৩১

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৩ নভেম্বার ২০২৩, ১০:৪৩

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে এ যুদ্ধবিরতি একদিন পিছিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু নাও হতে পারে। এমনকি যতক্ষণ পর্যন্ত যেসব জিম্মি মুক্তি পাবে তাদের নাম চূড়ান্ত না হচ্ছে— ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি হবে না।

কাতারের মধ্যস্থতায় শুরু হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়টি একটি ধাক্কা খেয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল সরকারি একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি পরিষ্কার নয়— কাতারে অবস্থানরত মোসাদ প্রধান জিম্মিদের চূড়ান্ত তালিকা পেয়েছেন কিনা— যাদের যুদ্ধবিরতির প্রথমদিন ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি হতে দুই পক্ষেরই সমর্থন ও স্বাক্ষর লাগবে। যেটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে।

অপর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান জানিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবারও যুদ্ধ চলবে।’

হারেৎজ নামে ইসরায়েলি অপর এক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় লড়াই থামবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে চূড়ান্ত সময়সীমা নিয়ে চুক্তি না হচ্ছে।’

তবে ইসরায়েলি এসব সংবাদমাধ্যমের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান তাজাচি হানেগবি জানিয়েছেন, শুক্রবারের আগে কোনো জিম্মিকে হামাস মুক্তি দেবে না।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান আরও বলেছেন, ‘আমাদের জিম্মিদের মুক্তির আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে এবং ব্যাহতভাবে চলছে।’

এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, কাতারের মধ্যস্থ্যতায় বৃহস্পতিবার থেকে হামাস ও ইসরায়েল ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগারে অবৈধভাবে আটকে রাখা ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এছাড়া গাজায় বিপুল মানবিক সহায়তা পৌঁছার সুযোগ দেওয়া হবে।

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর