প্রকাশিত:
৫ অক্টোবার ২০২৩, ১৮:৩৫
দক্ষিণ নাইজেরিয়ার রিভার স্টেটে একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে দুই অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ কমপক্ষে ৩৭ জন দগ্ধ হয়ে মারা গেছে।
স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইবা সম্প্রদায়ের নেতার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার রয়টার্স জানিয়েছে, গত সোমবার ভোররাতে রিভার প্রদেশে ইবা সম্প্রদায়ের একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্স।
সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা প্রধান রুফাস ওয়েলেকেমকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ‘আগুনে পঁয়ত্রিশ জন দগ্ধ হয়েছেন। সৌভাগ্যবান দুইজন ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও হাসপাতালে মারা গেছে।
তিনি আরো বলেছেন, ‘স্বজনরা নিহতদের কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে এবং দাফনের জন্য নিয়ে গেছে।’
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, পোড়া তালগাছ এবং একটি মোটরবাইক দিয়ে ঘেরা খোলা জায়গায় ১৫ জনের মৃতদেহ তিনি পড়ে থাকতে দেখেছেন। বেআইনি ওই তেল শোধনাগারটি পাইপলাইন থেকে অপরিশোধিত তেল পাইপের মাধ্যমে টেনে নিয়ে ট্যাঙ্কে রাখত। সাধারণত ঝোপ-জঙ্গলে এটি করা হত।
যেখানে অপরিশোধিত তেল উচ্চ তাপমাত্রায় ফুটিয়ে বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম পণ্যে পরিণত করা হত। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে অবৈধ তেল শোধনাগারের কারনে মারাত্মক মারাত্মক দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।
গত বছরের এপ্রিলে একটি অবৈধ অপরিশোধিত তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে অনেক মানুষ মারা যায়। চলতি বছরের মার্চ মাসেও রুমুয়েকপে সম্প্রদায়ের একটি অবৈধ তেলের পাইপলাইন বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এ ছাড়া গার্ডিয়ান সংবাদপত্র ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রতিবেদন করেছিল, অপরিশোধিত তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে রুমুয়েকপ সম্প্রদায়ে ২০ জন নিহত হয়েছে।
দেশটির প্রধান প্রধান তেল কোম্পানির পাইপলাইন থেকে তেল চুরির পর সেগুলো অবৈধ শোধনাগারে পরিশোধন করা হয়। বিপজ্জনক এই প্রক্রিয়ার কারণে অনেক সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া চোরাকারবারীদের অবৈধ এই তেল শোধন প্রক্রিয়ার কারণে দেশটির একটি অঞ্চল ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়েছে। অবৈধ এই কর্মকাণ্ডে দেশটির রাজনীতিবিদ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বেশ দৃঢ়ভাবে জড়িত বলে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো অভিযোগ করে থাকে।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: